সহকর্মীদের হত্যার বিচারসহ ১১ দফা দাবিতে সিলেটে বিক্ষোভ করেছে পুলিশ সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) কর্মবিরতি অব্যাহত রেখে জেলা পুলিশ লাইন্সে বিক্ষোভ করেছেন পুলিশের অধস্তন নারী ও পুরুষ সদস্যরা।
বিক্ষোভ চলাকালে তাদের হাতে বিভিন্ন স্লোগান লেখা পোস্টার দেখা যায়। এসময় ‘হৈ হৈ রৈ রৈ বিসিএস গেল কই?/আমার ভাই মরল কেন, বিসিএস জবাব দেয়/ এই মুহুর্তে দরকার, পুলিশ বাহিনী সংস্কার’ এমন স্লোগান দেন তারা।
এর আগে ১১ দফা দাবি আদায়েরে লক্ষ্যে গতকাল বুধবারও বিক্ষোভ করেছে সিলেট জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশ সদস্যরা। একই সাথে কর্মবিরতিও পালন করছেন তারা।
এদিকে, গতকাল বুধবার সদ্য যোগ দেওয়া বাংলাদেশ পুলিশের নবনিযুক্ত ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম পুলিশ সদস্যদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্ব-স্ব কর্মস্থলে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছিলেন। আইজিপির এমন নির্দেশের পরও বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুর ২টা পর্যন্ত সিলেটের কোথাও পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়নি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে নগরীর রিকাবীবাজার এলাকায় সিলেট জেলা পুলিশ লাইন্সে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন পুলিশ সদস্যরা। দুপুর ১টা পর্যন্ত তারা বিক্ষোভ করেন।
আন্দোলনকারী সিলেট জেলা পুলিশে কর্মরত উপপরিদর্শক (এসআই) নিতাই বলেন, ১১ দফা দাবিতে আমরা কর্মবিরতি পালন করছি। আমরা জনগণের পুলিশ ৷ আমরা জনগণের সাথে থাকতে চাই৷ আমাদের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক, কর্মস্থলের পরিবেশ নিরাপদ হোক। আমরা আর ভিলেন পুলিশ হতে চাই না।
জেলা পুলিশে কনস্টেবল পদে কর্মরত মো. জুবায়ের হোসেন বলেন, আমরা একটা সুশৃঙ্খল বাহিনী। কারো নির্দেশে রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের হয়ে আর কাজ করতে চাই না৷ আমাদের ১১ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা কর্মস্থলে ফিরব না৷
আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে পুলিশের আরও এক সদস্য বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে আমরা কর্মস্থলে ফিরব না৷ সেজন্য আমরা যে ১১ দফা দাবি করছি, তা অচিরেই মানতে হবে।
সিলেটের পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা পুলিশ সদস্যদের কাজে ফেরার জন্য আহ্বান করেছি। আজ বিকেলে বলা যাবে কতজন কাজে ফিরেছে।
১১ দফা দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের অনেকগুলো দাবিগুলো যৌক্তিক। যৌক্তিক দাবিগুলোর বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।