ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে মালদ্বীপ ২২ ধাপ এগিয়ে থাকার তথ্য জানা থাকলে ঘরের মাঠে দলটির কাছে বাংলাদেশের ০-১ গোলে হার আপনি হয়ত হজম করে নিতে পারবেন। কিন্তু যদি কিংস অ্যারেনায় বাংলাদেশ-মালদ্বীপের ম্যাচটি দেখে থাকেন, তাহলে এই হার হজম করা আপনার জন্য নিশ্চিতভাবেই কষ্টকর হবে।
কাগজে-কলমে মালদ্বীপ বেশ এগিয়ে থাকলেও মাঠের ফুটবলে বাংলাদেশ বরাবরই দলটিকে সমানে-সমান টক্কর দিয়েছে। মালদ্বীপের সঙ্গে সবশেষ দুই ম্যাচেও একটি করে জয় ও ড্র ছিল বাংলাদেশের। অথচ এবার ঘরের মাঠে তাদের কাছে হারতে হলো। ১৮ মিনিটে মালদ্বীপের নাম্বার সেভেন আলী ফাসিরের দেওয়া একমাত্র গোল হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা আর শোধ দিতে পারল না।
ম্যাচের বড় একটা সময় বাংলাদেশ আধিপত্য বিস্তার করে একের পর এক আক্রমণ শানিয়েছে। কিন্তু কখনো সেসব আক্রমণ মালদ্বীপের গোলকিপার হুসেইন শারিফের দৃঢ়তায় ভেস্তে গেছে, আবার কখনো নিজেরাই এলোমেলো শটে ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা নস্যাৎ করেছেন মোরসালিনরা।
প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময়ের শেষদিকে সোহেল রানার শট সাইড বারে লেগে প্রতিহত হয়। ৮৬ মিনিটে রাকিবের পাসে মোরসালিনের শট গোলকিপার বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন। এভাবেই বাংলাদেশের সব আক্রমণ মুখ থুবড়ে পড়েছে।
শেষ বাঁশিতে সঙ্গী হয়েছে একরাশ হতাশা, কপালে জুটেছে ০-১ গোলের হার। আগামী ১৬ নভেম্বর দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে মালদ্বীপের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।