শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে দেরিতে আসেন, আগে চলে যান

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের লক্ষণখলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্ধারিত সময়ের ঘণ্টাখানেক পরে ক্লাস শুরু ও নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা আগে ছুটি হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনটি শিক্ষকেরা বাড়িতে থেকে শিক্ষার্থীদের দিয়ে বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের তালা খোলান। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সাথেও নেই শিক্ষকদের কোনো যোগাযোগ। ফলে বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারেন না ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা।

১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১৫৫ জন শিক্ষার্থী আছে। প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। প্রধান শিক্ষক অফিসের কাজে প্রায়ই শিক্ষা অফিসে থাকেন। সেলিনা আক্তার ও মো. উল্লাহ নামের দুইজন সহকারী শিক্ষক প্রতিদিন দেরিতে বিদ্যালয়ে যান।

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সেলিনা আক্তার নির্ধারিত সময়ের ৪০ মিনিট ও মো. উল্লাহ ১ ঘণ্টা পরে বিদ্যালয়ে পৌঁছান। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বাজে মাস্তান জানিয়েছেন, শিক্ষকেরা তাদের মনমতো বিদ্যালয় পরিচালনা করায় শিক্ষার মান দিন দিন নষ্ট হচ্ছে।

তবে সকাল ১০টায় ক্লাস শুরু হয় জানিয়ে সহকারী শিক্ষক মো. উল্লাহ বলেন, আমি নতুন এসেছি। তাই ঠিক কয়টায় ক্লাস জানি না। উপজেলা সদর থেকে যাতায়াত করার কারণে কিছুটা দেরি হয়।

প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ১০টায় না, ৯টার সময়ই ক্লাস শুরু হয়।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানবেন্দ্র দাস বলেন, এ ব্যাপারে শিক্ষকদের শোকজ করা হবে।