শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ইংরেজি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ‘উদ্বাস্তু, প্রতিরোধ এবং স্বীকৃতি: (পোস্ট)-উত্তর-ঔপনিবেশিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বৈশ্বিক সাহিত্য প্রতিনিধিত্ব’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক গবেষণা সম্মেলন শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইংরেজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুনের সভাপতিত্বে এবং সহকারী অধ্যাপক সালেহে পারভীন দীপার সঞ্চলনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. দিলারা রহমান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কনফারেন্সের সদস্য সচিব সহযোগী অধ্যাপক মো. ইশরাত ইবনে ইসমাইল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি মিলিটারির অত্যাচারে বাংলাদেশের প্রায় ১ কোটি মানুষ ভারতে শরণার্থী হিসেবে অবস্থান নিয়েছিল।
সেই সময় মানুষের স্বাস্থ্য, খাদ্য, বস্ত্র সবকিছুতে মানবিক বিপর্যয় ঘটেছিল। তবে ভারত মানবিকতার পরিচয় দিয়ে আমাদের আশ্রয় দিয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশ সে সঙ্কট অনুভব করছে। মায়ানমারের ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা নিজের দেশে মিলিটারির অত্যাচারের শিকার হয়ে শরণার্থী হিসেবে আমাদের দেশে অবস্থান নিয়েছে। তবে রোহিঙ্গারা সেই আশ্রয়ের সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব, পাসপোর্টসহ বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে অন্যান্য দেশে পাড়ি জমাচ্ছে। যেটি আমাদের দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়।
দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত এ সম্মেলনে কি-নোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কানাডার ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির আর্টস অ্যান্ড হিউমেনিটিস অনুষদের সহযোগী ডিন (রিসার্চ) ইংলিশ অ্যান্ড রাইটিং স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. নন্দি ভাটিয়া এবং ভারতের খরগপুরের ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির হিউমেনিটিস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. অঞ্জলি গেরা রয়।
এছাড়া অনলাইনে যুক্ত থাকবেন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার ইউনিভার্সিটি অব ফ্র্যাসার ভ্যালির ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. প্রভজোট পারমার, কানাডার আলবার্টার ইউনিভার্সিটি অব আলবার্টার ইংলিশ অ্যান্ড ফিল্ম স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. লুইস হেরিংটন। বিশেষ সেশন পরিচালনা করেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা মো. তানভীর মোকাম্মেল।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক এ গবেষণা সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত, বাংলাদেশসহ ৯টি দেশের ১০৭ জন গবেষক মোট ৯৫টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করবেন। এতে মোট ৪টি কি-নোট স্পিচ এবং ৪টি প্যারালাল সেশন অনুষ্ঠিত হবে।