সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার আস্তমা গ্রামে (নোয়াবাড়ি) খড়ের ঘরে সৃষ্ট আগুন থেকে বসতঘর, ঘোলার ধান, নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, আসবাবপত্র সহ সব ভষ্মিভূত হয়ে গেছে। এতে প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটায় উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের আস্তমা (নোয়াবাড়ি) গ্রামে মর্মান্তিক এই অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তাৎক্ষনিকভাবে গ্রাসবাসী ও শান্তিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন বলে নিশ্চিত করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আস্তমা গ্রামের নোয়াবাড়ির মৃত হেকিম উল্লাহ’র ছেলে সাজিদ মিয়ার খড়ের ঘরে আগুন লাগে। পরে তা পাশের বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে আস্তমা গ্রামের মৃত মাহমদ আলীর ছেলে কবির আহমদ ও জাহির আহমদ, মৃত হেকিম উল্লাহ’র ছেলে সাজিদ উল্লা ও শফিক উল্লার টিনসেডের ঘরে আগুন লেগে সব ভষ্মিভুত হয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে গ্রাসবাসী ও শান্তিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪টি বসতঘর, ঘরে থাকা আসবাবপত্র, তৈজসপত্র ও নগদ অর্থ, ঘোলার ধানসহ পুড়ে গিয়ে প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ৪টি পরিবারকে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, আগুনে পুড়ে সব হারিয়ে আমরা এখন নিঃস্ব। খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে হচ্ছে। আমরা সরকার ও স্থানীয়দের সহযোগীতা চাই।
শান্তিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. জিসান বলেন, ‘খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হই।’