দলে বিশ্বকাপের সেরা দুই ফুটবলার। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ দুই গোলদাতা। বিশ্বকাপ ফাইনালে একজনের হাতে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি, অন্যজনের হাতে উঠেছিলো রানারআপের পুরস্কার। ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কার মঞ্চেও একজন প্রথম, অন্যজন দ্বিতীয়। তারা হলেন- লিওনেল মেসি এবং কিলিয়ান এমবাপে।
বিশ্বের সবচেয়ে দামি এবং সেরা দুই ফুটবলার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে খেলেন একই ক্লাবে। তবুও সেই ক্লাবের মাথায় শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট নেই, ওঠার সম্ভাবনাও নেই, অন্তত এই মৌসুমে। কারণ, ইউরোপিয়ান ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বের আসর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি পর্বেও জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ২-০ গোলে হেরে বিদায় নিতে হলো মেসি-এমবাপের ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইকে (পিএসজি)।
প্রথম লেগে ঘরের মাঠে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ১-০ গোলে হারতে হয়েছিলো পিএসজিকে। সেই ম্যাচে খেলেছিলেন আরেক বিশ্বসেরা নেইমারও। তিন বিশ্বসেরা মেসি, নেইমার এবং এমবাপে থাকা সত্বেও ঘরের মাঠে সেই ম্যাচে হেরে পিছিয়ে পড়তে হয়েছিলো প্যারিসের দলটিকে।
বায়ার্নের মাঠে পিএসজির প্রয়োজন ছিল ২ গোলের ব্যবধানে জয়। ইনজুরির কারণে এই ম্যাচে খেলতে পারেননি নেইমার। প্রথমার্ধে ভালোই লড়াই করতে পেরেছিলো মেসি-এমবাপেরা। দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলে। ৬১তম মিনিটে এরিক ম্যাক্সিম চৌপো-মোটিং গোল করে বায়ার্নকে এগিয়ে দেন। এরপর ৮৯তম মিনিটে সার্জি জিনাব্রি দ্বিতীয় গোল করে পিএসজির বিদায় নিশ্চিত করে দেন।
জয়ের পর বায়ার্ন কোচ হুলিয়ান নাগেলসম্যান বলেন, ‘আমরা যে পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছিলাম, প্রথমার্ধে তার কিছুই বাস্তবায়ন করতে পারিনি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ডিফেন্স করতে পেরেছি খুব ভালো। শুধু তাই নয়, বল পায়ে আমরা তাদের জন্য ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পেরেছিলাম। শেষ পর্যন্ত আমরা এই জয়টা প্রত্যাশাই করেছিলাম। আমরা সবচেয়ে বেশি আবেগের সঙ্গে জয়ের জন্য সর্বোচ্চ ক্ষুধার্ত থাকি এবং কোয়ালিটি খেলা প্রদর্শণ করতে পারি, তাহলে আমরা যেকোনো কিছুই অর্জন করতে সক্ষম হবো।’
প্রথমার্ধে দুই দলই গোলের সুযোগ পেয়েছিলো। প্রথমার্ধেই মেসির খুব কাছ থেকে দুর্দান্ত দুটি শট ঠেকিয়ে দেন এসি মিলান গোলরক্ষক। এছাড়া জামাল মুসিয়ালার শটও ঠেকিয়ে দিয়ে পিএসজিকে প্রথমার্ধে বাঁচান গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোনারুমা।
দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে বায়ার্নের চাপ আর সামলাতে পারেনি পিএসজি। যে কারণে দুটি গোল হজম করে বিদায় নিশ্চিত করেই ঘরে ফিরেছে তারা।