মহান মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ মানুষের ভূমিকাকে কোনোভাবে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। গ্রাম-গঞ্জের মানুষ যুদ্ধে সমর্থন ও সহযোগিতা না করলে ৯ মাসে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে স্বাধীন দেশ পাওয়া যেত না। বঙ্গবন্ধুর দুরদর্শী নেতৃত্ব, দেশপ্রেম, মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতা মুক্তিযুদ্ধের বিজয়কে ত্বরান্বিত করেছে।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে ৫ নম্বর সেক্টরের পাইওনিয়ার কোম্পানি কমান্ডার লে. কর্নেল (অব.) আবদুর রউফ বীর বিক্রম এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ কোনো গল্পকথা নয়। স্বাধীন বাংলাদেশ কারও দানেও পাওয়া নয়। এটা রক্ত দিয়ে অর্জিত ইতিহাস। একটি দেশপ্রেমিক প্রজন্ম গড়ে তুলতে তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে। আর এ কাজে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকরা।
সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসিনা বেগম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহ্ দিদার আলম নবেলের পরিচালনায় অতিথি হিসেবে যুদ্ধদিনের স্মৃতিচারণ করেন ৫ নম্বর সেক্টরের ইদ্রিস কোম্পানির কমান্ডার অধ্যক্ষ মো. ইদ্রিস আলী বীর প্রতীক। এছাড়া অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনিসুল হক ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক হাসান মোরশেদ।
আরও বক্তব্য দেন, জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক আল আজাদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সহ-সভাপতি সাঈদ চৌধুরী টিপু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ ও কোষাধ্যক্ষ আনন্দ সরকার।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আবুল হাসনাত ও মো. ছায়াদ মিয়া, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রাসেল, সাবেক কোষাধ্যক্ষ মিসবাহ উদ্দীন আহমদ, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক মিঠু দাস জয়, সাবেক ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক শংকর দাস, পাঠাগার সম্পাদক আবু বকর, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল আহাদ, কার্যনিবাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, রঞ্জিত সিংহ, সাবেক নির্বাহী সদস্য আলী আকবর চৌধুরী, নুরুল ইসলাম ও সুব্রত দাস, ক্লাব সদস্য মনিরুজ্জামান রনি, শাহজাহান সেলিম বুলবুল, ইয়াহইয়া মারুফ, আহমেদ জামিল, ভবরঞ্জন মৈত্র বাপ্পা, মৃণাল কান্তি দাস, মোখলেসুর রহমান, রেজাউল হক ডালিম, ফয়জুল আহমদ, পল্লব ভট্টাচার্য্য, হেনা মমো, জয়ন্ত কুমার দাস, মো. শহীদুল ইসলাম সবুজ ও মো. আবু বক্কর।