হবিগঞ্জের মাধবপুরে এক নিরীহ ব্যক্তির জোরপূর্বক জায়গা দখলের চেষ্টা ও পুকরের মাছ লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদি হয়ে হবিগঞ্জ অতিরক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করলে বিজ্ঞ আদালতে মামলাটি আমলে নিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য মাধবপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভুমি) কে নির্দেশ প্রদান করেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পুকুরটি প্রথম পক্ষ দেওয়ান লোকমান হোসাইনের দখলে ছিল।
মামলার সুত্রে জানা যায়, মাধবপুর উপজেলার ঘিলাতলী গ্রামের মৃত দেওয়ান সিরাজুল ইসলামের ছেলে দেওয়ান লোকমান হোসাইনের বাড়ি ও জায়গা জোর পূর্বক দখল করার চেষ্টা করছে একই গ্রামের মৃত ময়না মুন্সির ছেলে আবু ছায়েদ ও তার ছেলেরা। আবু ছায়েদ ও তার ছেলেদের বিরুদ্ধে দেওয়ান লোকমান হোসাইনের পুকর থেকে জোর পূর্বক মাছ লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
এ ঘটনায় দেওয়ান লোকমান হোসাইন বাদি হয়ে হবিগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আবু ছায়েদ সহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন ( মামলা নং-১৩৭/২২)। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সকারী কমিশনার (ভুমি) মাধবপুর সার্ভেয়ার দিয়ে সরজমিন তদন্ত করে দখল সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে আদেশ দেন।
আদালতের নিদেশে সার্ভেয়ার শহীদুল ইসলাম একটি প্রতিবেতন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, পুকর নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলমান আছে এবং বর্ণিত মামলার পূর্বে প্রথম পক্ষ অর্থাৎ দেওয়ান লোকমান হোসাইনের দখলে ছিল। প্রথম পক্ষের দখলে থাকলেও আসামী পক্ষ জোর পূর্বক মাছ মেরে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন লোকমান হোসাইন।
লোকমান হোসাইন জানান, তিনি জীবিকার তাগিদে ঢাকাতে একটি বেসরকারি চাকুরি করেন। বাড়িতে তার স্ত্রী থাকেন। আসামীরা এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় জোরপূর্বক মাছ লুট করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন।
তবে এসব ঘটনা সত্যি নয় বলে জানিয়েছেন অভিযুক্ত আবু ছায়েদ।
সিলেট ভয়েস/এএইচএম