এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আজ (মঙ্গলবার) টস করতে নামলেই অন্যরকম সেঞ্চুরি করে ফেলবেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বিশ্বের ১৫তম ও বাংলাদেশের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টির শততম ম্যাচ খেলার গৌরব অর্জন করবেন।
২০০৬ সালের নভেম্বরে খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক সাকিবের। সময়ের দীর্ঘ পরিক্রমায় ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের ধর্মশালায় ওমানের বিপক্ষে খেলেন ক্যারিয়ারের ৫০তম ম্যাচটিও। হাফসেঞ্চুরির ম্যাচ জয় দিয়ে রাঙিয়েছিলেন। এবার শততম ম্যাচটি জয়ে রাঙানোর অপেক্ষা।
আজকের ম্যাচের আগে ৯৯টি টি-টোয়েন্টি খেলে ১০ হাফসেঞ্চুরিতে সাকিবের সংগ্রহ ২ হাজার ১০ রান। ২৩.১০ গড়ে ১২০.৮৬ স্ট্রাইক রেট ব্যাটিং করেছেন তিনি। সর্বোচ্চ ইনিংস ৮৪। ২০১২ বিশ্বকাপে পাল্লেকেলেতে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন নম্বরে নেমে ৫৪ বলে ৮৪ রানের এই ইনিংসটি খেলেছিলেন। এছাড়া বল হাতে নিয়েছেন ১২১টি উইকেট। ২০১৮ সালে মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪ ওভার বল করে ২০ রানে ক্যারিয়ার সেরা ৫ উইকেট নিয়েছিলেন।
সাকিবের আগে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে শততম ম্যাচ খেলেছেন দুই সাবেক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিম। দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি খেলার রেকর্ড মাহমুদউল্লাহর দখলে। ম্যাচ সংখ্যা ১১৯। অন্যদিকে চলতি বছর মার্চে মুশফিক আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টির শততম ম্যাচটি খেলেছিলেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে রবিবারের ম্যাচে বিরাট কোহলিও শততম টি-টোয়েন্টি খেলেছেন।
এখণ পর্যন্ত কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মার। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে তার বর্তমান ম্যাচ সংখ্যা ১৩৩টি। এখনও খেলা চালিয়ে যাওয়া ক্রিকেটারদের হিসেব করলে দুই নম্বরে আছেন মাহমুদউল্লাহ।