২০২৩ সালের প্রথমার্ধে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় অন্তত ২৮৯ শিশু মারা গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ।
ইউনিসেফ বলেছে, ২০২২ সালের প্রথম ছয় মাসে রেকর্ড করা সংখ্যার থেকে এ সংখ্যাটি দ্বিগুণ। ইউরোপে শিশুদের সুরক্ষা খোঁজার জন্য প্রসারিত নিরাপদ, আইনি ও অ্যাক্সেসযোগ্য পথের আহ্বান জানিয়েছে তারা।
বিবৃতিতে জাতিসংঘ জানান, মৃত এই শিশুদের সবাই ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশে ইচ্ছুক বিভিন্ন অভিযাত্রী দলের সঙ্গে ছিল। গত বছরের প্রথম ছয়মাসের তুলনায় চলতি বছরের শিশুমৃত্যুর হার প্রায় দ্বিগুণ।
গত কয়েক বছর ধরে ভূমধ্যসাগরের তুরস্ক, লিবিয়া ও তিউনিসিয়া উপকূল থেকে ইউরোপগামী অভিবাসন প্রত্যাশীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এই অভিযাত্রীদের অধিকাংশই গিনি, সেনেগাল, গাম্বিয়া সিরিয়া এবং আফগানিস্তানের।
ইউনিসেফের ‘গ্লোবাল লিড অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডিসপ্লেসমেন্ট’ প্রকল্পের শীর্ষ নির্বাহী ভেরিনা নাউস বলেন, ‘একটি শিশুর মৃত্যু মানে একটি হাসির, একটি স্বপ্নের চিরতরে হারিয়ে যাওয়া। এই শিশুদের মৃত্যু চাইলেই থামানো যেতো।’
‘যেসব শিশু মারা গেছে-তারা আমাদের চোখের সামনে মারা না গেলেও তাদের মৃত্যুর জন্য কোনো না কোনোভাবে আমরা দায়ী। আমাদের সচেতনতা, আইন প্রণয়ন ও তা প্রয়োগে উদাসীনতা তাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। সবচেয়ে পীড়াদায়ক যেটি, তা হলো অভিবাসন প্রত্যাশীদের সাগরে ডুবে মরার ব্যাপারটি আমরা স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করছি।’
সিলেট ভয়েস/এএইচএম