‘ব্যবসা-বাণিজ্য একটি দেশের ব্লাড সার্কুলেশনের মতো’

বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগ এর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. হাফিজুর রহমান বলেছেন, ব্যবসা-বাণিজ্য একটি দেশের ব্লাড সার্কুলেশনের মতো। ব্লাড সার্কুলেশন ছাড়া যেমন শরীর অচল, তেমনি ব্যবসা-বাণিজ্য ছাড়াও দেশের অর্থনীতি ভিত্তিহীন। আর ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন এবং ব্যবসায়ীদের অধিকার রক্ষায় বাণিজ্য সংগঠনগুলোর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

সোমবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১০টায় সিলেট চেম্বারের কনফারেন্স হলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগ এর সাথে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র নেতৃবৃন্দের এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাণিজ্য সংগঠনগুলোর স্বার্থেই বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগকে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে এবং নতুন বাণিজ্য সংগঠন আইন ২০২২ প্রণয়ন করা হয়েছে।

তিনি জানান, বর্তমানে নতুন সংগঠন বা গ্রুপের টি.ও লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে অধিকতর যাচাই-বাছাই করা হয় এবং আদৌ সংগঠনটির প্রয়োজনীয়তা আছে কি না তা নিরূপন করে টি.ও লাইসেন্স প্রদান করা হয়।

তিনি সিলেট চেম্বার অব কমার্সের বিভিন্ন ট্রেড সেক্টরে প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনের সম্পৃক্ততাকে সাধুবাদ জানান এবং সিলেট চেম্বারের কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।

তিনি সিলেট চেম্বার পরিদর্শনের লক্ষ্যে তাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য চেম্বার সভাপতি ও পরিচালনা পরিষদকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

এছাড়া তিনি বিভিন্ন ট্রেড গ্রুপের নেতৃবৃন্দ কর্তৃক উত্থাপিত সমস্যাবলী নিরসনে তার পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সংগঠন-১ শাখার উপ-সচিব তরফদার সোহেল রহমান। এতে সভাপতিত্ব করেন সিলেট চেম্বারের সভাপতি ও এফবিসিসিআই’র পরিচালক তাহমিন আহমদ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তরফদার সোহেল রহমান বাণিজ্য সংগঠন অনুবিভাগ এর বিভিন্ন কার্যক্রম এবং নতুন বাণিজ্য সংগঠন আইন ২০২২ এর ওপর সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

সভাপতির বক্তব্যে সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও এফবিসিসিআই’র পরিচালক তাহমিন আহমদ বলেন, দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সিলেটের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন, ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণ, ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিসহ পর্যটন, শিল্প ও রপ্তানি খাতের উন্নয়নে কাজ করে আসছে। এছাড়া সিলেট চেম্বার ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করে থাকে।

তিনি বলেন, সিলেট চেম্বার সিলেটের বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন। সিলেট চেম্বারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের টি.ও লাইসেন্সপ্রাপ্ত বিভিন্ন সেক্টরের ১২টি সংগঠন সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। উক্ত সংগঠনগুলোকে নিয়ে সিলেট চেম্বার সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ীদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি এসএমই উদ্যোক্তা ও নারী উদ্যোক্তাদের স্বার্থে এবং রপ্তানি বাণিজ্যের প্রসারে সিলেট চেম্বারের উদ্যোগে প্রতিবছর সিলেট আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা আয়োজনের জন্য উপযোগী মাঠ বরাদ্দের ব্যাপারে মহাপরিচালক মহোদয়ের সহযোগিতা কামনা করেন।

এছাড়া তিনি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাণিজ্য সংগঠনগুলোর রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রহিতকরণ, সিলেটে জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ এর ফার্মস এর শাখা অফিস স্থাপন, বৃহৎ পরিসরে সিলেট চেম্বারের ভবন নির্মাণের জন্য জমি বরাদ্দসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন, সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফালাহ্ উদ্দিন আলী আহমদ, সহ-সভাপতি মো. আতিক হোসেন, পরিচালক জিয়াউল হক, মো. হিজকিল গুলজার, মুজিবুর রহমান মিন্টু, আলীমুল এহছান চৌধুরী, ফাহিম আহমদ চৌধুরী, দেবাংশু দাস মিঠু, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন সাহা, সাবেক পরিচালক মো. বশিরুল হক, মো. আমিনুজ্জামান জোয়াহির, বিভিন্ন ট্রেড গ্রুপের নেতৃবৃন্দের মধ্যে মো. বদরুল আলম, বশির আহমদ, সাহেদুর রহমান, এম. নুরুল ইসলাম, মো. নাসির উদ্দিন, মো. সাহাব উদ্দিন, জয়দেব চক্রবর্তী, নাজির আহমদ স্বপন, মাওলানা তাজুল ইসলাম হাসান, সিলেট চেম্বারের সচিব মো. গোলাম আক্তার ফারুক, উপ-সচিব সানু উদ্দিন রুবেল, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার আজিজুর রহিম খান, এক্সিকিউটিভ অফিসার শাহ আলম রাফি প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার মিনতি দেবি।