আফগানদের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে শীর্ষে নিউজিল্যান্ড

নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেলোনা এক ম্যাচ আগে ইংল্যান্ডকে হারানো আফগানরা। ২৮৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অল আউট হয়েছে মাত্র ১৩৯ রানে। আর ১৪৯ রানের বড় জয় নিয়ে টানা চার ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলে সবার উপরে নিউজিল্যান্ড।

বিশ্বকাপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে উইল ইয়াং, টম লাথাম ও গ্লেন ফিলিপসের ফিফটিতে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৮৮ রান করেছে নিউজিল্যান্ড।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি।

আগে ব্যাট করতে নেমে ডেভন কনওয়ে ও উইল ইয়াং উদ্বোধনী জুটি বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি। দলীয় ৩০ রানে কনওয়ের বিদায়ে ভেঙে যায় এই জুটি। মুজিব উর রহমানের স্পিন ঘূর্ণিতে এলবিডাব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন ২০ রান করা এই বাঁহাতি ব্যাটার।

তিন নম্বরে নামা রাচিন রবীন্দ্রকে নিয়ে শুরুর চাপ সামাল দেন ইয়াং। তারা দু’জন মিলে গড়েন ৭৯ রানের জুটি। দলীয় ১০৯ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে নিউজিল্যান্ডের। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের গুড লেন্থের বল লাইন মিস করলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ৩২ রান করা রবীন্দ্র।

এরপর ১ রান তুলতেই আরও দুই উইকেট হারায় কিউইরা। ১০৯ রানে ১ উইকেট থেকে ১১০ রানেই হয়ে যায় ৪ উইকেট।

তবে এ বিপর্যয় সামলে বড় সংগ্রহের দিকেই এগুচ্ছিলো টম ল্যাথাম এবং গ্লেন ফিলিপস জুটি। সাবধানী ইনিংসে দলীয় স্কোর আড়াইশো পার করেন এই দুজন। অবশ্য তাতে আফগান ফিল্ডারদের কৃতিত্বও আছে। মুজিব-উর রহমান এবং হাশমতউল্লাহ শহিদি দুজনেই ক্যাচ ছেড়েছেন। তবে ৪৮তম ওভারের প্রথম বলে নাভিন উল হকের শিকার হয়ে ফিলিপস (৭১) ফিরে ভাঙে ১৪৪ রানের জুটি। এর এক বল পর ফিরে যান টম ল্যাথাম (৬৮)।

তবে এরপর আর কোনো অঘটন ছাড়াই নির্ধারিত ৫০ ওভার পার করে নিউজিল্যান্ড। ৬ উইকেটে করে ২৮৮ রান।

২৮৯ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুটাই ছিলো নড়বড়ে। দলীয় ২৭ রানেই ফিরে যান দুই ওপনোর রহমানুল্লাহ গুরবাজ (১১) আর ইব্রাহিম জাদরান (১৪)। রহমত শাহ ইনিংস মেরামতের জন্য কিছুটা চেষ্টা করলেও অপরপ্রান্তে ছিলো যাওয়া আসার খেলা। হাসমতুল্লাহ শহিদি (৮) আর আজমতুল্লাহ ওমরজাই (২৭) ফিরে গেলে মূলত ম্যাচে ফেরার আর কোনো সম্ভাবনাই তৈরি হয়নি। আফগানিস্তান শেষ ৬ উইকেট হারিয়েছে মাত্র ৪২ রানে। ৩৪ ওভার ৪ বলের ইনিংসে ৬ ব্যাটারই দুই অঙ্কে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছেন। অল আউট হয়েছেন ১৩৯ রানে।

কিউদের হয়ে স্যান্টনার ও ফার্গুসন নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট।