ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. বুলবুল আহমেদের পরিবারের ৯ জন সদস্য ক্যাম্পাসে এসেছিলেন। রোববার (৩১ জুলাই) সকালে ক্যাম্পাসে আসেন বুলবুলের মা ইয়াসমিন আক্তার, বড় ভাই-বোন, মামাসহ অন্যান্য সদস্যরা।
জানা গেছে, আবেগের টানেই বুলবুল আহমেদের স্মৃতিবিজরিত ক্যাম্পাসে এসেছেন তারা। পরে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরাণ হলের অতিথি কক্ষে বসিয়ে আপ্যায়ন করে হল কর্তৃপক্ষ।
এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে নিহত শিক্ষার্থী বুলবুলের মা ইয়াসমিন বেগম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ছেলে হত্যা বিচারে চেয়ে বলেন, আপনাদেরও সন্তান আছে, আপনারাও মায়ের সন্তান। আমার ছেলে বেঁচে থাকলে আপনাদের মতো হত। জীবনে সফল হওয়ার আগেই তারে মাটির নিচে (কবরে) দিয়ে দিছি। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এর বিচার চাই। অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরাণ হল প্রভোস্টের কার্যালয়ে বুলবুলের ব্যবহৃত জিনিসপত্র হস্তান্তরের সময় তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলেন।
উল্লেখ্য সোমবার সন্ধ্যায় এক বান্ধবীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে অবস্থিত গাজী কালুর টিলায় ঘুরতে যান বুলবুল। পরে সেখানে অবস্থানকালে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হন তিনি। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে বুলবুল মাটিতে লুটে পড়েন। পরে শিক্ষার্থীরা জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করে এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।