বাঁচা-মরার লড়াইয়েও সেই ব্যাটাররাই ডোবালো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। প্রাথমিক পর্ব থেকে সুপার টুয়েলভে ওঠার জন্য আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল ক্যারবিয়ানদের। এমন ম্যাচেও ব্যাটাররা জ্বলে উঠতে না পারায় আইরিশদের বিপক্ষে মাত্র ১৪৬ রানের সংগ্রহ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
একই সমীকরণ ছিল আইরিশদের সামনেও! জিতলেই সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত। এমন ম্যাচে বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে পর দুই ওপেনারের ঝড়ো শুরুতে সুপার টুয়েলভের রাস্তা সহজ করতে আর কি লাগে! ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ১৪৬ রানের লক্ষ্য মাত্র এক উইকেট হারিয়ে ১৭.৩ ওভারে টপকে গেছে আইরিশরা।
আর এতে দুইবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নরা প্রাথমিক পর্বেই ছিটকে গেল বিশ্বকাপ থেকে । আর ক্যারবিয়ানদের হারিয়ে সুপার টুয়েলভে নিশ্চিত করেছে আয়ারল্যান্ড।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) বেলেরিভ ওভাল মাঠে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ক্যারিবিয়ানদের শুরুটা ভালো ছিল না। দলীয় ২৭ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন দুই ব্যাটার। তৃতীয় উইকেট জুটিতে এভিন লুইস ও ব্রেন্ডন কিং মিলে গড়েন ৪৪ রানের জুটি। মূলত এই জুটিই উইন্ডিজদের কক্ষপথে ফেরায়।
লুইস ব্যক্তিগত ১৩ রানে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। পরে নিকোলাস পুরানের সাথে কিং একটি জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। দারুণ শুরুর আভাস দিলেও ১১ বলে ১৩ রান করে ফেরেন নিকোলাস পুরান।
রভম্যান পাওয়েলও দিতে পারেননি যোগ্য সঙ্গ। এক প্রান্তে যাওয়া আসার মিছিল থাকলেও অন্য প্রান্তে ঠিকই দাঁড়িয়ে ছিলেন ব্র্যান্ডন কিং। শেষ পর্যন্ত ৪৮ বলে ৬২ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। এছাড়াও শেষ দিকে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছিলেন ওডেন স্মিথ। তার ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে ১৯ রান।
আয়ারল্যান্ডের হয়ে ১৬ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন গ্যারেথ ডিলানি। এছাড়াও একটি করে উইকেট শিকার করেন ব্যারি মাকার্থি ও সিমি সিং।
মাঝাড়ি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত শুরু পায় আয়ারল্যান্ড। দুই আইরিশ ওপেনার পল স্টার্লিং ও অ্যান্ডু ব্যালবার্নি মিলে ছয় ওভারে আইরিশদের স্কোরবোর্ডে রান তোলেন ৬৪ রান।
ইনিংসের অষ্টম ওভারে দলীয় ৭৩ রানে অধিনায়ক ব্যালবার্নি ফিরে গেলে প্রথম ব্রেকথ্রু পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আকিল হোসাইনের বলা আউট হওয়ার আগে ২৩ বলে সমান তিন চার ও ছক্কায় ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
সঙ্গী হারালেও ব্যাট হাতে ঝড় চালিয়ে গেছেন স্টার্লিং। তার আক্রমণে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সব পরিকল্পনা। তিন নম্বর নেমে তার সঙ্গে কাঁধে কাধ মিলিয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন হ্যারি টকার।
দুইজনের ব্যাটিং তোপে ইনিংসের ১৫ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আয়ারল্যান্ড। ব্যাট হাতে ৪৮ বলে ছয় চার ও দুই ছক্কায় ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন স্টার্লিং। অন্যপ্রান্তে ৩৫ বলে সমান দুই চার ও ছক্কায় ৪৫ রানের ইনিংস আসে টকারের ব্যাট থেকে।