বালাগঞ্জে খালে মিলল স্কুলছাত্রীর মরদেহ

সিলেটের বালাগঞ্জে খাল থেকে সুমাইয়া বেগম (১৫) নামে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার (২২ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার নূরপুর গ্রাম সংলগ্ন একটি খাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

তাকে হত্যা করে মরদেহ খালে ফেলে রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মৃত সুমাইয়া বেগম উপজেলার বোয়ালজুড় ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামের আইন উল্যার মেয়ে এবং বাণীগাঁও এসইএসডিপি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। এক ভাই ও দশ বোনের মধ্যে সুমাইয়া সবার ছোট ছিল।

নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বুধবার সকাল ৯টার দিকে সুমাইয়া বাড়ি থেকে বের হয়। স্কুলে বার্ষিক মিলাদের দাওয়াত ছিল। তবে সুমাইয়ার মা স্কুলে গিয়ে মেয়েকে পাননি। স্কুল ছুটির পরও সে বাড়ি ফেরেনি। পরে বিকেল ৪টার দিকে স্থানীয়রা খালের পাড়ে তার স্কুলব্যাগ ও জুতা দেখতে পেয়ে বাড়িতে খবর দেন। এরপর খোঁজাখুঁজি করে পার্শ্ববর্তী ঝোপবেষ্টিত খালের পানিতে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তারা।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার সকালে বৃষ্টি না হওয়ায় ওই এলাকা দিয়ে মানুষের চলাচল ছিল না। আর ওই এলাকাটিও নির্জন ছিল। ওই সময়ে সুমাইয়াকে হত্যা করা হতে পারে।

বালাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, যে খাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে পায়ের গোড়ালি সমান পানি। এই পানিতে সুমাইয়ার ডুবে মারা যাওয়ার কথা না। তার দেহে আঘাতের চিহ্নও নেই। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। তবে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতের পর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে সন্দেহভাজন অনেককে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।