পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার একদিনের মধ্যেই দ্বিগুণ হয়েছে পেঁয়াজের দাম। এক-দুই দিনের ব্যবধানে বানিয়াচং উপজেলার বাজারগুলোতে কেজিতে দাম বেড়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা।
শুক্রবার সকালে খুচরা বাজারে যে পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা ছিল। দুপুরে তা ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় দাঁড়ায়। শনিবার সকাল থেকে রাত পযর্ন্ত বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকা প্রতি কেজি। রবিবারে দুপুর থেকেই তা ১৮০ টাকা ছাড়িয়েছে।
রবিবার (১০ডিসেম্বর) সরেজমিনে বানিয়াচং উপজেলার বড় বাজার, গ্যনিংগঞ্জ বাজার, আদর্শ বাজার, ৫/৬নং বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে ক্ষণে ক্ষণেই বেড়ে যাচ্ছে পেঁয়াজের দাম। রাত থেকে সকালে কেজি প্রতি বেড়ে গেছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। অন্যদিকে সকাল থেকে দুপুরে আরও যোগ হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। সব মিলিয়ে এক-দুই দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা। তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান পাইকারি আড়তে দাম বেশি তাই তারা বেশী দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
গ্যানিংগঞ্জ বাজার খুচরা ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান জানান, গত শুক্রবার পেঁয়াজের দাম ছিল ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা। সকালে হঠাৎ আড়তে দাম বেড়ে যায়। এখন ১৫৪ টাকা কেজি পাইকারী কিনছি। তাই বিক্রি করতে হচ্ছে ১৬০ টাকা। আজকের পাইকারি বাজার আছে ১৭২ টাকা সেই হিসেবে বিক্রি করতে হবে থেকে ১৮০ টাকা।
অপরদিকে আরেক ব্যবসায়ী মখলিছ মিয়া জানান, গত শুক্রবার যেই পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি করেছি সেই পেঁয়াজ শনিবার বিক্রি করছি ১৬০ টাকা। আজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। আড়তদার দাম বাড়াইলে আমাদেরও দামে বিক্রি করতে হয়।
পেঁয়াজ কিনতে আসা মোঃ কাজল মিয়াকে বিক্রেতার সাথে পেঁয়াজের দর নিয়ে বচসা করতে দেখা যায়। সেসময় তিনি বলেন, আমি গত শুক্রবার ১০০ টাকা কেজি ধরে ২ কেজি পেঁয়াজ কিনেছি। এখন দেখি এরা ১৭০টাকা চাইছে, এটা কি মগের মুল্লুক নাকি!
তবে এরপর তিনি পেঁয়াজ না কিনেই চলে যান।
হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধির ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, মজুদ রাখা পেঁয়াজ যাতে পূর্বের নির্ধারিত দামে বিক্রি করা হয় সে বিষয়ে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম চলমান আছে। পাশাপাশি বাজারের ব্যবসায়ীদেরকে সচেতন করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।