বাংলাদেশে চলমান সহিসংতা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্বেগ

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক সহিসংতা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে এ উদ্বেগ জানান।

তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশে আট হাজারের বেশি বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী গ্রেপ্তারের ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। সব ক্ষেত্রেই ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’

জোসেপ বোরেল বলেন, ‘আমরা সব পক্ষকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত করি।’

তিনি বলেন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার জন্য সহায়ক, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ উপায় খুঁজে বের করা গুরুত্বপূর্ণ।

এর আগে গত ২৯ অক্টোবরও এক্সে এক পোস্টে বিএনপির সমাবেশের কর্মসূচি ঘিরে রাজধানী ঢাকায় সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনায় সমবেদনা জানায় বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূতাবাস।

সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করছিল বিএনপি। একই সময়ে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে দক্ষিণ গেটে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করছিল আওয়ামী লীগ। আর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই মতিঝিলের দিকে মাঠে ছিল জামায়াতে ইসলামী।

আরও পড়ুন : অবরোধের প্রথম দিন সারাদেশে ১৯টি বাসে আগুন

বিএনপির সমাবেশ চলাকালে এক পর্যায়ে দৈনিক বাংলা মোড়, কাকরাইল ও পল্টনসহ আশপাশের এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপি। আগুন, ভাঙচুর ও ককটেল ছোড়া হয়। পিটিয়ে হত্যা করা হয় পুলিশের এক কনস্টেবলকে। এ ছাড়া সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে মারা গেছেন আরও একজন।

ওইদিন সমাবেশ কর্মসূচি চলার মধ্যেই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৯ অক্টোবর সারা দেশে হরতালের ডাক দেন। পরে একদিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি। অজ্ঞাত স্থান থেকে রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি দেন। পরে আবার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ডাক দেয়া হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে।