আজ পহেলা ফাল্গুন। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। এই ঋতুতে প্রকৃতি সজ্জিত হয় নতুনরূপে। গাছে গাছে নতুন কচি পাতার আগমন ঘটে। শিমুল, পলাশ আর কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙে হয়ে ওঠে চারদিক।
বাঙালির বার মাসে তের পার্বণ সংস্কৃতির এক অপার নিদর্শন বসন্ত বরণ। ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক বসন্ত বরণে বাঙালি সর্বদাই সচেষ্ট। এর অংশ হিসেবে জেলা শিল্পকলা একাডেমি সিলেট আজ (১লা ফাল্গুন) গান ও নৃত্যের বর্ণিল পরিবেশনায় বরণ করলো ঋতুরাজ বসন্তকে।
বসন্ত বরণ উপলক্ষে বিকাল ৩টায় রিকাবীবাজার মুক্ত প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় বসন্ত আনন্দ উৎসব।
জেলা কালচারাল অফিসার অসিতবরণ দাশ গুপ্তের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ডিন অধ্যাপক ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মন্ডলির সদস্য মোকাদ্দেস বাবুল, সিলেট প্রেসক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি ইকরামুল কবির, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজতকান্তি গুপ্ত।
আবৃত্তিশিল্পী জান্নাতুল নাজনীন আশার সঞ্চালনায় উৎসবের সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় ছিলেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্য বিভাগ, সিলেট নৃত্যালয়, মুক্তাক্ষর, একাডেমি ফর মণিপুরী কালচার এন্ড আর্টস, নৃত্যরথ, অনির্বান শিল্পী সংগঠন ও নৃত্যাঞ্জলি এবং একক পরিবেশনায় ছিলেন গৌতম চক্রবর্ত্তী, মোকাদ্দেস বাবুল, ইকবাল সাঁই, শচীন চন্দ্র দিপংকর, স্বস্তিকা বণিক মীম, হিল্লোল শর্মা, বিথী রাধানাথ, সুপ্তা দাস, শিঞ্জিনী তালুকদার, পল্লবী দাস মৌ, সূর্য্য কর শুভ, স্নেহা দাস, “অর্পিতা তালুকদার, মনোরমা দাস ধৃতি, পুষ্পা চৌধুরী। মনোমুগ্ধকর ও বর্ণিল এ আয়োজনে নিজেদের পরিবেশনায় আগত দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন শিল্পীরা।