সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, জেনারেল এমএজি ওসমানী ৬৬ বছরের বর্ণাঢ্য জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নির্লোভ, নির্ভয়, নিরহংকার, বিনয়ী, শৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তিতা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অনুসরণ, নিখাদ দেশপ্রেম এবং মানুষের প্রতি মমত্ববোধই ছিল তাঁর অন্যতম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। সত্য, সুন্দর আর মানবতার প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার এই চারিত্রিক গুণাবলিই তাঁকে মানুষের মিছিলে নিয়ে এসেছিল। সেই মিছিলের মানুষই তাঁকে অভিষিক্ত করেছিলেন একজন সাহসী ও আপসহীন নেতৃত্বের গৌরবময় আসনে। সাহসিকতার সঙ্গে স্বাধীনতা ও মুক্তির পতাকা ঊর্ধ্বে তুলে ধরে বাঙালি জাতির বিজয় ছিনিয়ে আনতে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সিপাহসালার জেনারেল এমএজি ওসমানী যে অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন, সেজন্য স্বাধীন বাংলাদেশের বীর জনতা তাঁকে ‘বঙ্গবীর’ উপাধিতে ভূষিত করেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি আলোকিত নাম জেনারেল মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী। যুদ্ধক্ষেত্রে রণনীতি ও রণকৌশলে তিনি মেধা, শ্রম, দক্ষতা, সততা ও শৃঙ্খলার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত ছিলেন। “বঙ্গবীর ওসমানী” তাই শুধু একটি নাম নয়; বাঙালি জাতির সর্বাত্মক মুক্তিযুদ্ধের অখন্ড ইতিহাস। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, গণতন্ত্রের আপোষহীন সৈনিক, নিঃস্বার্থ দেশপ্রেমিক, বঙ্গবীর জেনারেল মুহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী’র জন্মবার্ষিকীতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ওসমানী জাদুঘর প্রাঙ্গণে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি (সি.এন.সি) জেনারেল মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ওসমানী জাদুঘর সিলেটের উদ্যোগে আয়োজিত বঙ্গবীর ওসমানীর সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি, মোনাজাত, খতমে কোরআন, আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ ও আবৃতি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুজিবুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ওসমানী জাদুঘরের সহকারী কিপার মো. জিয়ারত হোসেন খান ও রোটারিয়ান রুনা সুলতানার যৌথ পরিচালনায় মুল প্রবন্ধ পাঠ করেন ও বক্তব্য রাখেন- মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি এডভোকেট নওসাদ আহমদ চৌধুরী।
প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন- বঙ্গবীর ওসমানী গবেষণা ইন্সটিটিউটের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এম এ মালেক খান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- ওবিই ডিবিএ ইংল্যান্ড এর ইকবাল আহমদ, সিলেট স্টেশন ক্লাবের প্রেসিডেন্ট এডভোকেট নূর উদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ঢাকার কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মো. রফিকুল ইসলাম, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদউল্লাহ শহীদুল ইসলাম, সিলেট ফুলকলি ফুড প্রোডাক্ট লিমিটেডের ডিজিএম জসিম উদ্দিন খন্দকার, দৈনিক খবরপত্রের সিলেট ব্যুরো প্রধান সাংবাদিক কলামিস্ট এম এ মতিন প্রমুখ।