সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গোলাপগঞ্জ উপজেলার মানুষ নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। অনেকেই আহত হয়ে হাসপাতালে বেডে কাতরাচ্ছেন। এতো শহীদের রক্তের বিনিময়ে দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে। এই সুযোগ নিয়ে এখন ফ্যাসিবাদের দোসররা পুনর্বাসিত হওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। তাদেরকে পুনর্বাসিত হতে দেয়া হবে না। গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলার মানুষ তাদেরকে পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ দিবে না।’
শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের প্রবাসী বিএনপি নেতা হাজী আবুল লেইছের অর্থায়নে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে আহতদের আর্থিক সহায়তা প্রদান উপলক্ষে আলোচনাসভা ও দোয়া মহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘দীর্ঘ দেড় দশক থেকে সারাদেশের ন্যায় এই এলাকার মানুষও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন নি। নিজেদের পছন্দ মতো জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারেননি। মিডনাইট ও ডামি নির্বাচনের নামে ক্ষমতার চেয়ার দখল করে রাখা হয়েছিল। জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে এই এলাকার কাঙ্খিত উন্নয়ন সাধিত হবে ইনশাআল্লাহ।’
সিলেট থেকে বাঘায় যাতায়াতের সড়কটি দীর্ঘদিন থেকে সংষ্কার না হওয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বোরহান উদ্দিন সড়কটি দীর্ঘদিন থেকে সংষ্কার হচ্ছেনা। এই এলাকার মানুষ যাতায়াতের জন্য চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অভিলম্বে এই সড়কটি সংষ্কার করতে হবে। পাশাপাশি গোলাপগঞ্জ উপজেলার সাথে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম বাঘা নদীর উপর দ্রত ব্রীজ নির্মানের দাবি জানান তিনি।
বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সিলেট জেলা যুবদলের সদস্য জাহাঙ্গীর আহমদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মসফিকুর রহমান মহি, ছালিক আহমদ চৌধুরী, রুহেল আহমদ, ফারুক আল মাহমুদ, সৈয়দ এনু, আব্দুল কাদির সেলিম, শাহেল আহমদ, এড মামুন আহমদ রিপন, জামিল আহমদ চৌধুরী, দুলাল আহমদ, এনাম আহমদ, বাছিতুর রহমান, শাকের মাহমুদ, সুফিয়ান আহমদ খান,জেবুল আহমদ, তাজ উদ্দিন, সুহেল আহমদ, রুমেল আহমদ চৌধুরী, হোসেন আহমদ, মোর্শেদ আহমদ, জাহেদ আহমদ, জয়নুল ইসলাম রিফাত, রাজু আহমদ, জুমন আহমদ, ইমরান আহমদ, রুমাদ আহমদ, আবুল খায়ের, শাহরিয়ার মতিন অভি, তাহেল আহমদ প্রমুখ।