প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এইচএসসিতে ছাত্রীদের পাসের হার বেশি, এটার জন্য ধন্যবাদ। সবসময় আমাদের শুনতে হয়— জেন্ডার ইকুয়ালিটি। এখন তো দেখি উল্টো হচ্ছে, ছেলেরা মেয়েদের থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবার দেখি মেয়েদের পাশের হার বেড়ে যাচ্ছে। এখন ছেলেদের পিছিয়ে যাওয়ার কারণ খুঁজে বের করতে হবে।
রোববার (২৬ নভেম্বর) সকালে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র পড়ে পাস করলে হবে না, সেটা অর্থবহ হতে হবে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে যথেষ্ট হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ২০২১ ও ২০২২ সালে সমস্ত বিষয়ে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হয়নি, যুক্তিসঙ্গতভাবে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সে সময় আমি দেখেছি, আমাদের এইচএসসি বা সমমনা পরীক্ষার ফলাফল ৬০ দিনে দেওয়ার যে একটা রীতি, সেটা কিন্তু আপনারা অব্যাহত রেখেছেন। সেটার জন্য আপনাদেরকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০২৩ সালের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ লাখ ৭৪ হাজার চারশত ৮৮ জন। সেখানে আমি বলব সংখ্যাটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তার মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৬ লক্ষ আটানব্বই হাজার ১৩৫ জন। ছাত্রীর সংখ্যা ৭৬ হাজার পাঁচশত ৫৩ জন।
ফলাফল বিশ্লেষণে জানা যায়, পাসের হারেও এগিয়ে ছাত্রীরা। ছাত্রীদের পাসের হার ৮০ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ছাত্রদের পাসের হার ৭৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
এর আগে রোববার সকাল ১০টার দিকে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার কাছে ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপস্থিত ছিলেন।