প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ’র সভাপতি মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী।
বুধবার (৫ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণভবনে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সংগঠনটির সভাপতি মাদ্রাসার জন্য স্বতন্ত্র কারিকুলাম প্রণয়নয়সহ সরকার প্রধানের কাছে দশ দফা দাবি তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হলো-
১. মাদরাসার জন্য আলিম-উলামার সমন্বয়ে স্বতন্ত্র কারিকুলাম প্রণয়ন করা।
২. মাদরাসার মূল বিষয়সমূহ ঠিক রেখে সাধারণ বিষয়সমূহের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে দাখিল স্তরে ১০টি বিষয় নির্ধারণ করা।
৩. স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদরাসাসমূহের মঞ্জুরী ও নবায়ন এবং ৪৩১২টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদরাসা এমপিওভুক্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৪. দেশের ৩৫০টি সরকারী কলেজ ও ৩টি সরকারি মাদরাসার মসজিদসমূহের ইমাম ও মুয়াযযিনদের জন্য জনবল কাঠামোতে পদ সৃষ্টি করে তাদের জন্য সরকারি বেতন-ভাতাদির ব্যবস্থা করা।
৫. স্কুল ও মাদরাসার সকল পাঠ্যপুস্তক থেকে কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী বিতর্কিত ও আপত্তিকর সকল বিষয় বাদ দেওয়া।
৬. নতুন কারিকুলাম ও পাঠ্যপুস্তক ৮ম ও ৯ম শ্রেণিতে চালু করার আগে আলিম-উলামার সমন্বয়ে যাচাইপূর্বক সংশোধন করা।
৭. মাদরাসার জন্য স্বতন্ত্র কারিকুলাম প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত নতুন কারিকুলামে মাদরাসার ইসলামী বিষয়সমূহ যথাযথ গুরুত্বের সাথে অন্তর্ভুক্ত করা।
৮. স্কুলের ধর্ম শিক্ষা বিষয়কে বোর্ড পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা।
৯. সংযুক্ত ও স্বতন্ত্র সকল স্তরের ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, মিড-ডে মিল, শিক্ষা উপকরণ প্রদান এবং শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাগ্রহণ করা।
১০.মাদরাসার সাধারণ ও ইসলামী বইসমূহ আলিম-উলামার সমন্বয়ে মাদরাসার উপযোগী করে ছাপানো।
প্রসঙ্গত, মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৫ আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন। সে আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন দলটির সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও রুপালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আহমদ আল কবির। তবে আওয়ামী লীগের সাথে মিত্র হুছামুদ্দীন চৌধুরীর আসন ভাগাভাগি হলে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কপাল পুড়তে পারে; এলাকায় এমনটাই গুঞ্জন রয়েছে।