শ্রম ও কর্ম সংস্থান মন্ত্রনালয়ের মজুরি বোর্ড কর্তৃক চা বাগানের শ্রমিক ও কর্মচারিদের মজুরি সংক্রান্ত বিষয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন।
গত ১০ আগস্ট বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন এর কেন্দ্রীয় সংগঠক বীরেন সিং স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, মালিক, শ্রমিক ও সরকারের ত্রিপক্ষীয় প্রতিনিধিদের আলোচনা সাপেক্ষে মজুরি নির্ধারণের আইনী বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও সরকারের মজুরি বোর্ড শ্রমিক প্রতিনিধিদের সাথে কোনো আলোচনা ছাড়াই চা শ্রমিকদের মজুরি মাত্র ১৭০/১৬৯/১৬৮ টাকা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বর্তমান বাজার দর হিসেবে ন্যূনতম দৈনিক ৬৫০ টাকার কমে একটি পরিবার চলতে পারে না। তারপরও সার্বিক দিক বিবেচনায় নিয়ে আমরা বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে দৈনিক ৫০০ টাকা মজুরির দাবি করে আসছি। চা বাগানের সাধারণ শ্রমিক ও ছাত্র যুবকরা দৈনিক মাত্র ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে গত বছর আগষ্ট মাসে লাগাতার ১৯ দিন অনাহারে অর্ধাহারে থেকে ধর্মঘট, রাজপথ অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছে।
চা শ্রমিক ফেডারেশনের ভাষ্য অনুযায়ী, আন্দোলনের চাপে প্রধানমন্ত্রী শ্রমিক প্রতিনিধি ছাড়াই মালিকদের সাথে আলোচনা করে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা ঘোষণা দেন। তখন কাঙ্ক্ষিত মজুরি না হওয়া সত্ত্বেও আন্দোলনকারী শ্রমিকরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সম্মান রেখে দৈনিক ১৭০ টাকা মজুরি সাময়িকভাবে মেনে নিয়ে আন্দোলন স্থগিত করে।
কিন্তুু শ্রমিকদের ১৭০ টাকা মজুরির এরিয়া বিল (বকেয়া মজুরি) ৩১,৫০০ টাকা এখনো পরিশোধ করা হয় নি। ৩১,৫০০ টাকা বকেয়ার মধ্য মাত্র ১১০০০ টাকা প্রদানের আরেকটি প্রজ্ঞাপন সম্প্রতি জারি করা হয়েছে। যা ইতিমধ্যে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছি। সরকার এই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে চা শ্রমিকদের আকাঙ্ক্ষাকে পদদলিত করে নগ্নভাবে মালিকশ্রেণির স্বার্থ রক্ষা করেছে।
তাই বিবৃতিতে প্রজ্ঞাপন বাতিলসহ দৈনিক ৫০০ টাকা মজুরির দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সকল চা শ্রমিকদের প্রতি আহবান জানানো হয়।