“নির্বাচনের সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কি পদত্যাগ করেন?”

যুক্তরাজ্যের নির্বাচন পদ্ধতিতে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেন কিনা জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীতে সেতু ভবনে এক বৈঠকে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুকের কাছে এ প্রশ্ন করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি হাইকমিশনারের কাছে জানতে চান, নির্বাচনের সময় তাদের দেশে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেন কিনা, কিংবা পার্লামেন্ট বিলুপ্ত হয় কিনা।

সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রথমবারের মতো ব্রিটিশ হাইকমিশনার প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনের কথা বলেছেন। এছাড়া গুলশানে (উপনির্বাচন) ভায়োলেন্স নিয়ে কথা হয়েছে।

ব্রিটিশ হাইকমিশনারের প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা সম্পর্কে ওবায়দুল কাদেরের জবাব কী ছিল- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, আমেরিকানদের যা বলেছি, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে যা বলেছি, ব্রিটিশ হাইকমিশনারকেও তা-ই বলেছি। আমাদের বক্তব্য অভিন্ন। যেভাবে ইলেকশন হবে, তা নিয়ে কথা বলেছি।

বিএনপির দাবির মতো বিদেশি হাইকমিশনারদের বক্তব্য একই রকম কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির দাবি- সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন; কিন্তু কিভাবে নির্বাচন হবে, সেটা নিয়ে তাদের (ব্রিটিশ) কোনো বক্তব্য নেই। তারা প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন চায়। এ সময় বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকে অদ্ভুত ও উদ্ভট বলেও আখ্যা দেন তিনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারে এমন ব্যবস্থা ছাড়া নির্বাচনে আসতে চায় না। তাদের হেরে যাওয়ার ভয় আছে। জনগণ যাকে ভোট দেবে, সে-ই ক্ষমতায় যাবে।

নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের সময় কমিশন স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করবে। আর সরকার রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। তারা কোনো মেজর পলিসি ডিসিশন নিতে পারবে না, সেটা বাস্তবায়ন করতে পারবে না। আর্থিক ও রেগুলেটরিসহ অনেক বিষয়ে কমিশন স্বাধীন।