ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ভেঙে ফেলা হয়েছে কয়েক শতাব্দী প্রাচীন আকঞ্জি মসজিদ। ভবনটির ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সদস্য বৃহস্পতিবার জানান, সংরক্ষিত বন থেকে অবৈধ অবকাঠামো অপসারণের অংশ হিসেবে মসজিদটি ভেঙে ফেলা হয়।
গত মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) মেহরাউলিতে অবস্থিত এ মসজিদটি ভেঙে ফেলা হয়।
আকঞ্জি মসজিদের তত্ত্বাবধানকারীদের মতে, মসজিদটি প্রায় ৬০০ বছরের পুরোনো। সেখানে একটি বোর্ডিং স্কুলে ২২ জন শিক্ষার্থী থাকতো।
ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মসজিদের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোহাম্মদ জাফর এএফপিকে বলেন, মসজিদটি রাতের অন্ধকারে ধ্বংস করা হয়েছে। এর আগে তারা কোনো নোটিশ পায়নি। মসজিদ কম্পাউন্ডের অনেক কবর অপবিত্র করা হয়েছে এবং মসজিদটি ভেঙে ফেলার আগে কাউকে কোরআনের কপি বা অন্যান্য সামগ্রী বের করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, আমাদের অনেক শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব এবং আমার নিজের পূর্বপুরুষদের সেখানে সমাহিত করা হয়েছে। এখন কবরের কোনো চিহ্ন নেই। মসজিদ ও কবরের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে অন্য কোথাও ফেলা হয়েছে।
শহরের প্রধান ভূমি ব্যবস্থাপনা সংস্থা দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি এ ঘটনা তদারক করেছে। এসব অভিযোগের ব্যাপারে সংস্থাটি গণমাধ্যমের কাছে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
বৃহস্পতিবার আকঞ্জি মসজিদ এলাকায় উপস্থিত ছিল বিপুলসংখ্যক পুলিশ। রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে এলাকাটিতে সর্বসাধারণের প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেয়া হয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উত্তরের শহর অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের স্থলে রাম মন্দির উদ্বোধনের সপ্তাহখানেক পরেই আকঞ্জি মসজিদ ভাঙার ঘটনা ঘটলো।
অন্যদিকে, বুধবার ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের বারাণসীতে অবস্থিত জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্টে পূজা করার অনুমতি দিয়েছে একটি আদালত।