দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় বেতার ও টেলিভিশনে একযোগে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণের মাধ্যমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
ঘোষিত তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠ থেকে তাৎক্ষণিক এক আনন্দ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্ব এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন খান এর সঞ্চালনায় আনন্দ মিছিলের শুরুতে ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারী মাঠে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দেশের সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের একমাত্র পথ হচ্ছে নির্বাচন। সমগ্র জাতি অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার। কাঙ্ক্ষিত সেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হয়েছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে জাতি এখন মুখিয়ে রয়েছে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শিল্পায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে উচ্চ আয়ের দেশের মর্যাদায় উন্নীত করতে যে রূপকল্প ২০৪১ এর ঘোষনা দিয়েছেন, সেই রূপকল্প বাস্তবায়নে একটি সোপান হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে আগামী নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে আবারো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব প্রদানের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের প্রতিটি কর্মীকে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত মাঠে থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন নেতৃবৃন্দ।
আনন্দ মিছিলে জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি এড শাহ ফরিদ আহমদ, এড. মো. নিজাম উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী দুলাল, কোষাধ্যক্ষ শমসের জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মাহফুজুর রহমান, সাইফুল আলম রুহেল, আইন সম্পাদক এড আজমল আলী, দপ্তর সম্পাদক আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ আব্বাছ উদ্দিন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বেগম সামসুন্নাহার মিনু, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এমাদ উদ্দিন মানিক, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বুরহান উদ্দিন আহমদ, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ সাকির আহমদ (শাহীন), উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. মজির উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, আবদাল মিয়া, আমাতোজ জোহরা রওশন জেবিন, এড ফখরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি এজাজুল হক এজাজ, সাধারণ সম্পাদক শামীম রশিদ চৌধুরী, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি শাহ মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুল ইসলাম, জেলা মহিলা লীগের সভাপতি এড. সালমা সুলতানা, সাধারণ সম্পাদক হেলেন আহমেদ, জেলা যুব লীগের সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি, সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসর আজিজ, সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন আহমদ কয়েছ, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজিরা বেগম শীলা, সাধারণ সম্পাদক হাকীম দিনা আক্তার, জেলা তাঁতী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাসুম আহমদ, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মৃদুল কান্তি দাস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ।
মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, বিজিত চৌধুরী, জগদীশ চন্দ্র দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, বিধান কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আরমান আহমদ শিপলু, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মহিউদ্দিন লোকমান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জুবের খান, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সেলিম আহমদ সেলিম, শ্রম সম্পাদক আজিজুল হক মঞ্জু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি, সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আব্দুল আজিম জুনেল, মুক্তার খান, এড মোহাম্মদ জাহিদ সারোয়ার সবুজ, রাহাত তরফদার, এমরুল হাসান, সুদীপ দেব, সাব্বির খান, সৈয়দ কামাল, সাইফুল আলম স্বপন, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান সুহেদ, উপদেষ্টা সদস্য এনাম উদ্দিন, কানাই দত্ত, মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি এম শাহরিয়ার কবির সেলিম, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম রুমেন, মহানগর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এড আব্দুর রকিব বাবলু, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসমা কামরান, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সাধারণ সম্পাদক মুসফিক জায়গিরদার, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশ দাস মিঠু, মহানগর তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আবুল হাসনাত বুলবুল, যুব মহিলা লীগের সভাপতি সুফিয়া কবির, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশওয়ার জাহান সৌরভ, সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমেদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রব হাজারী, জুনু মিয়া, মুহিবুর রহমান ছাবু, সালউদ্দিন বক্স সালাই, রোকন আহমদ, ফখরুল হাসান, আনোয়ার হোসেন আনার, সাজোয়ান আহমদ, ইসমাইল মাহমুদ সুজন, ফয়সল আক্তার ছোবহানী, আনসার আহমদ কয়েছ, আব্দুস সালাম সাহেদ, মো. ছয়েফ খাঁন ও সাধারণ সম্পাদক তাজ আহমদ লিটন, সোয়েব বাসিত, এম.এ খান শাহীন, জাহিদুল হোসেন মাসুদ, জায়েদ আহমেদ খাঁন সায়েক, নজরুল ইসলাম নজু, এড মোস্তফা দিলোয়ার আজহার, শেখ সুরুজ আলম, মো. বদরুল ইসলাম বদরু, মানিক মিয়া, এডভোকেট বিজয় কুমার দেব বুলু, আহমেদ হান্নান, সফিকুল ইসলাম আলকাছ, বদরুল হোসেন লিটন, মইনুল ইসলাম মঈন, ফজলে রাব্বি মাসুম, শেখ সোহেল আহমদ কবির, জাবেদ আহমদ, সেলিম আহমদ সেলিম, বদরুল ইসলাম প্রমুখ।
এছাড়াও আনন্দ মিছিলে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এবং সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।