সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মাধ্যমে পরিচয় ও প্রেম। এক পর্যায়ে পরিবারের অমতে বিয়ে করেন জান্নাতুল নাঈম ও রেজাউল করিম (৩১)। কিন্তু রেজাউলের একাধিক সম্পর্কের জেরে তৈরি হয় সন্দেহ, শুরু হয় মনোমালিন্য ও বাকবিতণ্ডা। এরই জেরে হত্যার পরিকল্পনা করেন ঘাতক স্বামী।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।
বুধবার (১০ আগস্ট) রাতে রাজধানীর পান্থপথের এক হোটেল থেকে নারী চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী রেজাউলকে চট্টগ্রামের মুরাদপুর থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাব জানায়, আজ ১২ আগস্ট জান্নাতুল নাঈমের জন্মদিন। এ দিনটি উদযাপন করার কথা বলে ১০ আগস্ট পান্থপথের ‘ফ্যামিলি অ্যাপার্টমেন্ট’ নামে একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যান রেজাউল করিম। সেখানে কথা-কাটাকাটি, বাকবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত ও গলা কেটে স্ত্রীর মৃত্যু নিশ্চিত করেন তিনি। এরপর স্ত্রীর মোবাইল ফোন নিয়ে দরজার বাইরে থেকে বন্ধ করে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে গিয়ে আত্মগোপন করেন।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, সুরতহাল প্রতিবেদন অনুযায়ী, শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত ও জখমের চিহ্ন ছিল। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে রাজধানীর কলাবাগান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাব জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকা থেকে আসামি রেজাউল করিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডের সময় পরিহিত রেজার রক্তমাখা গেঞ্জি, মোবাইল ফোন ও ব্যবহৃত ব্যাগ এবং ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার রেজা হত্যায় নিজের সংশ্লিষ্টতার দায় স্বীকার করেছেন।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তার রেজাউল একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৯ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈমের সঙ্গে পরিচয় ও প্রেম হয়। ২০২০ সালের অক্টোবরে বিয়ে করেন তারা।