সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার স্বজনশ্রী ভায়া হলিকোনা বাজারের সড়ক দিয়ে এই উপজেলাসহ দিরাই উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার জনসাধারণ চলাচল করে আসছেন। তবে ঠিকাদারের অবহেলার কারণে সড়কটি এখন বেহাল, জনদুর্ভোগ চরমে। এক বছর ধরে অবহেলায় পড়ে থাকায় বর্তমানে সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে সাধারণ জনগণ চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন।
এই সড়ক দিয়ে জগন্নাথপুর উপজেলার স্বজনশ্রী, বাউধরন, মুজিব মার্কেট, হলিকোনা বাজার, খাগাউড়া গ্রাম, গুপরাপুর বাজার এবং দিরাই উপজেলার সুরিয়ারপাঁড় গ্রাম, আকিলশাহ বাজার, হাতিয়া গ্রাম ও মাকুলী বাজারের মানুষ এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। ২০১৯ সালে প্রায় ৪ কোটি ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩ কিলোমিটার সড়কের কাজ শুরু করেন ঠিকাদার আতিক। রাস্তার প্রায় অর্ধেক কাজ শেষ হলেও বিল বাকি থাকায় ১ বছর ধরে সড়কটি পরিত্যক্ত করে রাখা হয়েছে। ঠিকাদার বিল না পাওয়ায় কাজটি করছেন না বলে জানান।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কটি বালি দিয়ে ভরাট করে রাখা হয়েছে, মাঝে চোরা গর্ত আছে। গাড়ি চলাচল করলে সাথে সাথে বালু উড়তে থাকে। সেজেগুজে সড়কটি দিয়ে চলাচল করে বালু দিয়ে গোসল করে ঘরে ফিরতে হয়। শিশু, শিক্ষার্থী, নারী, বৃদ্ধদের হয় চরম অবস্থা। ফলে সাধারণ জনগণকে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
রাস্তায় ধুলোবালি উড়তে থাকে অনবরত। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষসহ ট্রাক, টেম্পু, অটোরিকশা চলাচল করে। বর্তমানে সড়কটির এমন অবস্থা হয়েছে যে চলাচলে জনগণ সড়কে নামতে চান না। সড়কটির এমন অবস্থায় মানুষের যেন কষ্টের শেষ নেই। এই সড়কটি দিয়ে যাতায়াতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
স্থানীয়রা জানান, বর্তমান সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এই উপজেলার ব্যাপক উন্নয়ন করলেও এই সড়কটি দিকে নজর দিচ্ছেন না। এই সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে শান্তিগঞ্জ ও জগন্নাথপুর উপজেলার রাস্তাঘাটের। কিন্তু কোনো অজ্ঞাত কারণে এ রাস্তার দিকে নেতারা নজর দিচ্ছেন না। ভাটি অঞ্চলের সাথে যোগাযোগ রক্ষাকারী একমাত্র সড়কটির বেহাল দশা দেখার কেউ নেই। তারা জরুরি ভিত্তিতে এই সড়কের কাজ করার আহ্বান জানান।
এ ব্যাপারে জানতে ঠিকাদার আতিকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তিন কিলোমিটার সড়কটির মধ্যে প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়কের কাজ শেষ করেছি। কিন্তু আমরা টাকা পাচ্ছি না বলে কাজ শেষ করতে পারছি না। তারপরও আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কাজ শুরু করবো বলে আশা করছি।
জগন্নাথপুর এলজিইডি অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্বাছ উদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা জেনেছি ঠিকাদারের দুই কোটি টাকা আটক থাকায় তিনি কাজ করছেন না। টাকা পেলে কাজ করবেন।