সুনামগঞ্জের ছাতকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্যামপাড়া-কান্দিগাঁও রাস্তায় ৪ মাস ধরে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ১০টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
ছাতক আকিজ প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজের পশ্চিম পয়েন্ট শ্যামপাড়া থেকে শুরু হয়ে কান্দিগাঁও পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার রাস্তা অত্যন্ত নাজুক। এ রাস্তাটি কান্দিগাঁও গদারমহল হয়ে রুক্কা বাজারের কাছে ছাতক-জাউয়া সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে।
বন্যায় এ রাস্তার মদুকোনি ও মানসীনগর-তিররাই গ্রাম এলাকায় ব্যাপক পানির স্রোতে পৃথক পৃথক ভাঙন সৃষ্টি হয়। এ রাস্তার এ অংশের অবস্থা খুবই খারাপ। জায়গায় জায়গায়ে পিচ উঠে গেছে। মাটি সরে গিয়ে রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের।
১০টি গ্রামের হাজার হাজার লোকজন চলাচল করতে সাময়িকভাবে দুটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করেছেন। ছাতক শহর থেকে মদুকোনি পর্যন্ত সিএনজি চালিত অটোরিকশা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এরপর লোকজনকে হেঁটেই যাতায়াত করতে হচ্ছে।
এ সড়কে যাতায়াতের আর কোনো বিকল্প রাস্তা না থাকায় এভাবেই তিন মাস ধরে এলাকার লোকজন যাতায়াত করছেন। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা কিছু রাস্তা হেঁটে, আর কিছু রাস্তা অটোরিকশায় করে শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে লেখাপড়া করছে।
সাবেক ইউপি আব্দুস সালাম জানান, ২২ মে প্রথম দফা বন্যার পর এ রাস্তা দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর এলাকার লোকজনের উদ্যোগে রাস্তাটি সাময়িক মেরামত করা হলে কিছু দিন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করেছে। গত ১৫ জুনের দ্বিতীয় দফা বন্যায় রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী আফছার উদ্দিন জানান, বরাদ্দ পেলেই দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের ব্যবস্থা নেবেন।