গোয়াইনঘাটে চাঞ্চল্যকর অরেশ নমশুদ্র হত্যা মামলার মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, শনিবার (২৫ জুন) ভোর ৪টার দিকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সীমান্তবর্তী হোয়াপাড়া এলাকা থেকে ঘটনার সাথে জড়িত পিরিজপুর গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের ছেলে বিলাল উদ্দিন (৩০)কে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার (২৬ জুন) দুপুর ১২টায় মামলার অপর দুই আসামি গোয়াইন গ্রামের ছয়ফুল আলমের ছেলে সুহেল মিয়া এবং চেরাগ আলীর ছেলে শাহনুর মিয়াদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জানা যায়, গত ২৪ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার গোয়াইন গ্রামের অরেশ নমশুদ্র বাড়ি থেকে বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন। পথিমধ্যে স্থানীয় জমিরের দোকানের সামনে সুহেল, শাহনুর, মিলাদ ও বিলালদের আড্ডা দিতে দেখেন। এ সময় বিলাল অরেশ নমশুদ্রকে ডাক দিলে দাঁড়িয়ে কথা বলার একপর্যায়ে সুহেল ভিকটিমের মাথায় আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে সবাই মিলে অরেশকে তাদের সাথে থাকা মেগলাইট ও লাঠি দ্বারা উপর্যুপরি আঘাত করলে তার মাথার ডান পাশ, দুই চোখ, নাক, থুতনিতে মারাত্মক জখম প্রাপ্ত হয়।
একপর্যায়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ভিকটিমের অবস্থা আশংকাজনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ২৫ জুন রাত দেড়টার দিকে তিনি মারা যান।
এ সংক্রান্তে ভিকটিমের মেয়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গোয়াইনঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিলেট জেলার মিডিয়া মুখপাত্র জেলা বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের ভয়াবহ বন্যায় সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ থানা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ। বানভাসি মানুষকে উদ্ধারের পাশাপাশি আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সিলেট জেলা পুলিশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।