সিলেটের গোলাপগঞ্জে বাদেপাশা ইউনিয়নের উত্তর আলমপুর লম্বাহাটি গ্রামের ৩৫ থেকে ৪০টি পরিবারের ইজমালী প্রায় দেড় থেকে দুইশো বছর আগের পুরনো একমাত্র রাস্তার ওপর শৌচাগারের ট্যাংকি নির্মাণ করে চলাচল বন্ধ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাস্তার ওপর শৌচাগারের ট্যাংকি নির্মাণ করায় বর্তমানে ঘরবন্দী জীবনযাপন করছেন ৩৫-৪০টি পরিবারের লোকজন। রাস্তাটি বন্ধ করার প্রতিবাদে ও খুলে দেয়ার দাবীতে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ভুক্তভোগিদের উদ্যোগে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ৬০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১২ ফুট প্রস্থের পুরনো এ রাস্তাটি ওপর গত ২৬ নভেম্বর সকালে একই গ্রামের প্রতিবেশী মানিক মিয়ার ছেলে বাদেপাশা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন গংরা শৌচাগারের ট্যাংকি নির্মাণ করে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। বিষয়টি আমরা লিখিত ভাবে সিলেটের পুলিশ সুপার ও গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে জানিয়েছি। তবে এখনো তারা কোন কার্যকর উদ্যোগ নেননি।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা বলেন, বাথরুমের ট্যাংকি নির্মাণ কাজ শুরুর সাথে সাথে বাদেপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হোসাইনকে বিষয়টি জানালে তিনি আপোষ মীমাংসার লক্ষ্যে পরপর দু’বার বৈঠকের ডাক দিলেও প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যানের ডাকে সাড়া দেয়নি। এমনকি নির্মাণ কাজ বন্ধও রাখেনি। আজ ৫ ডিসেম্বর সকালে বৈঠক হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু মিনহাজের পক্ষের কেউ একজন মারা যাওয়ায় তারা চেয়ারম্যানকে বৈঠক পিছানোর কথা বলেছেন। অথচ আমরা মিনহাজের প্রতিবেশী হিসেবে তাদের কেউ মারা যাওয়ার খবর জানি না। বৈঠকে না আসার এটি মিথ্যা অজুহাত বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।
চেয়ারম্যান সাহেব জানিয়েছেন আগামী সোমবার বা মঙ্গলবার বৈঠকের তারিখ নির্ধারণ করা হতে পারে। বক্তারা বৈঠক না হওয়া পর্যন্ত নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জোর দাবী জানান।
বক্তারা বলেন, রাস্তা বন্ধ করে ইজমালি রাস্তায় বাথরুমের ট্যাংকি নির্মাণে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিলটন চন্দ্র পাল-কে জানালে তিনি বিষয়টি এসিল্যান্ড ও তহশিলদারকে দেখার জন্য বলেছেন এবং এ বিষয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগীরা রাস্তাটি দ্রুত উদ্ধারের মাধ্যমে চলাচলের উপযোগী করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান।