আজ ১২ ডিসেম্বর। গোলাপগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস। দীর্ঘ ৯ মাস প্রাণপণ যুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১২ ডিসেম্বর গোলাপগঞ্জ পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয়।
এদিন দুপুরে গোলাপগঞ্জ চৌমুহনীতে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা উত্তোলন করেন পৌরসভার রণকেলী এলাকার দক্ষিণভাগ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম জি এন চৌধুরী হুমায়ুন।
জানা যায়, ১৯৭১ সালের ১২ ডিসেম্বর ভোরে মুক্তিযোদ্ধারা সুতারকান্দি-বিয়ানীবাজার হয়ে উপজেলার নালিউরি গ্রামে গিয়ে অবস্থান নেন। নালিউরি গ্রাম থেকে মাত্র দেড় মাইল উত্তরে উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ বাজারে পাকিস্তানি বাহিনী ও রাজাকারদের ঘাঁটি ছিল। ওই দিন বিকেলে মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের এক কিশোর খবর দেয় হানাদার বাহিনীর কয়েকজন সেনা সদস্য একটি গাড়ি নিয়ে ভাদেশ্বরের দিকে যাচ্ছে। এ সংবাদ পাওয়া মাত্র মুক্তিযোদ্ধারা সেই কিশোরের সহযোগিতায় রাস্তায় গিয়ে ট্যাংক ধ্বংসকারী মাইন পুতে রাখেন। গাড়িটি ফেরার সময় ওই স্থানে এসে বিস্ফোরিত হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় দুজন পাকিস্তানি সৈন্য। বাকিরা লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের মুকিতলা গ্রামের দিকে পালিয়ে যায়। এদিন দুপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাদের সম্মুখযুদ্ধ হয়। যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনারা পরাজিত হয়ে পালিয়ে যায়।
এদিকে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও দিবসটি পালনে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন।