বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিফতাহ্ সিদ্দিকী বলেছেন, ‘বিগত ১৭ বছরের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুণরুদ্ধারের জন্য ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক আন্দোলন শুরু হয়েছিল। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের সর্বশেষ ছাত্রজনতার গণঅভ্যূত্থানের নেপথ্যেও তারেক রহমানের নেতৃত্ব ছিল। তাই ফ্যাসিবাদের পতন আন্দোলনের নেপথ্যের কারিগর দেশনায়ক তারেক রহমান।
রোববার (২০ অক্টোবর) রাতে সিলেট মহানগর বিএনপির অন্তর্গত ২৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে আমাদের নেতা এম. ইলিয়াস আলী, ছাত্রদল নেতা ইফতেখার আহমদ দিনার, জুনেদ আহমদ ও আনসার আলী সহ গুম হওয়া নেতাকর্মীদের এখনো ফিরে পাইনি। সিলেট শহরে যারা অস্ত্রের মহড়া দিয়েছিল তারা এখন গ্রেপ্তার হয়নি। এখনও এসব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। ফ্যাসিস্টের অনেক দোসররা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
মিফতাহ্ সিদ্দিকী বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট রেজিমের সময়ে বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানসহ বিএনপির সকল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্য ও গায়েবী মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি।’
বরইকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম হোসেনের সভাপতিত্বে এবং নুরুল ইসলাম রুহেল ও হোসেন আহমদ রুহুলের যৌথ সঞ্চালনায় সভা প্রধান বক্তা হিসেবে সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের সংগ্রাম এখনো শেষ নয়, ভোটাধিকারের আন্দালন চলমান রয়েছে। আগামী সংসদ নির্বাচনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে এখন থেকেই মাঠে কাজ করতে হবে।’
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব। সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হাসান জুয়েল, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি লতিফ খান, বৃহত্তর সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাছুম আহমদ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম বাচ্চু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক সায়াদ হোসেন সুজন, বিএনপি নেতা মকসুদ আহমদ, সুরমা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. নুরুল আমিন, জানু আহমদ, বিএনপি নেতা আজাদ মিয়া, রফিক মিয়া, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, মহানগর জাসাসের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক ইফতেখার হোসেন বিপুল, শাহজাহান মিয়া, এমদাদ হোসেন, মাসুদ আহমদ কবির, সাহেল শাহ, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মিজান আহমদ, মিন্টু আহমদ, ঈসমাইল আহমদ, দিদার আহমদ, মাহবুবুর রহমান বাপ্পি, মাহফুর রহমান মুন্না, আলেক আহমদ, মন্জুর আহমদ, কুটন আহমদ, বাবুল আহমদ, আরাফাত রহমান, রাহেল আহমদ, আরিফ শাহরিয়ার শুভন, রেকি আহম, মেহদী হাসান রুমন প্রমুখ।