ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার জন্য দায়ী যুক্তরাষ্ট্র, অভিযোগ শেখ হাসিনার

গত সোমবার ( ৫আগস্ট) গণবিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। পরে এদিনই দুপুরে জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান জানান, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। এরপর থেকে শেখ হাসিনার মুখ থেকে কোন কথা বলতে শোনা যায় নি। প্রায় সাত দিন পর নীরবতা ভেঙেছেন দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। সরকার পতনের পেছনে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দিকে অভিযোগ করেছেন তিনি। রোববার এক প্রতিবেদনে দ্য ইকোনোমিক টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি পদত্যাগ করেছি, যাতে আমাকে লাশের মিছিল দেখতে না হয়। ছাত্রদের লাশ নিয়ে তারা ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল, কিন্তু আমি তা করতে দিইনি, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। আমি ক্ষমতায় থাকতে পারতাম যদি আমি সেন্ট মার্টিন দ্বীপের সার্বভৌমত্ব আত্মসমর্পণ করতাম এবং আমেরিকাকে বঙ্গোপসাগরের উপর কর্তৃত্ব করতে দিতাম। আমি আমার দেশের জনগণের কাছে অনুরোধ করছি, ‘দয়া করে মৌলবাদীদের দ্বারা প্রতারিত হবেন না’।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি যদি দেশে থাকতাম, তাহলে আরও প্রাণহানি হত, আরও সম্পদ ধ্বংস হয়ে যেত। আমি প্রস্থান করার জন্য অত্যন্ত কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আপনার নেতা হয়েছি কারণ আপনি আমাকে বেছে নিয়েছেন, আপনি আমার শক্তি ছিলেন’।

চলমান পরিস্থিতি নিয়ে পদত্যাগী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক নেতাকে হত্যা করা হয়েছে, কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে এবং তাদের বাড়িঘর ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে এমন খবর পেয়ে আমার হৃদয় কেঁদে উঠছে…আল্লাহর রহমতে আমি শিগগিরই ফিরে আসব। আওয়ামী লীগ বারবার উঠে দাঁড়িয়েছে। আমি চিরকাল বাংলাদেশের জন্য প্রার্থনা করব, যে জাতির জন্য আমার মহান পিতা সংগ্রাম করেছিলেন। যে দেশের জন্য আমার বাবা ও পরিবার তাদের জীবন দিয়েছে’।