সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও অন্যের জমি দখল করে অবৈধভাবে বালু তোলা ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা, জেলা প্রশাসন ও সিলেট রেঞ্জে এই লিখিত অভিযোগ করেছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার তৈমুরনগর গ্রামের মরহুম শমশের আলীর ছেলে ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেন।
অভিযোগে মুক্তার দাবি করেছেন, তার ভাই জজ মিয়ার রেকর্ডভুক্ত কোম্পানীগঞ্জের কালাসাদেক মৌজার ১৯০৫ খতিয়ান ও ২৪৩ দাগের কয়েক শতক জমি অবৈধ দখলে নিয়েছেন উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলাউদ্দিন। ওই জমি থেকে বালু তুলে হাজার হাজার ঘনফুট বালু বিক্রি করে টাকা লুটপাট করে চলেছেন।
সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি, সিলেটের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত এ অভিযোগ করেন মুক্তার।
অভিযোগ পাওয়ার পর সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) কোম্পানীগঞ্জ থানার একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ সময় ওই ভূমির অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা পালিয়ে যায় বলে জানান এসআই আলাউদ্দিন।
পুলিশ জানায়, মুক্তার হোসেনের দাবি করা জায়গা সরকারি না কি ব্যক্তিমালিকানাধীন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে পুলিশ দেখে বালু উত্তোলনকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় এটা প্রতীয়মান হয়েছে যে তারাও বৈধ নয়।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ, কালাসাদেক মৌজার রেকর্ডভুক্ত ৭ নম্বর জে.এল, ১৯০৫ নম্বর খতিয়ানের ২৪৩ দাগের এক একর (একশ শতক) জায়গায় মুক্তার হোসেনরা ক্রয়সূত্রে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ব্যবসা-বাণিজ্য করে আসছে। বিবাদী আলাউদ্দিন উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হওয়ায় দলীয় প্রভাব দেখিয়ে দলবল নিয়ে চাঁদা দাবি করে আসছিল মুক্তার হোসেনদের কাছে। চাঁদা না দেওয়ায় উল্লেখিত জায়গা থেকে জোরপূর্বক অবৈধভাবে বালু তুলে টাকা লুটপাট করছে।
জজ মিয়া বলেন, যুবলীগের আহ্বায়ক আলাউদ্দিন সরকার দলীয় ক্ষমতা দেখিয়ে এসব অপকর্ম করে যাচ্ছেন। ন্যায়বিচারের জন্য স্থানীয় মুরব্বি ও প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছি। ন্যায়বিচার চাই।
অভিযুক্ত উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলাউদ্দিন বলেন, যে জায়গার কথা বলা হচ্ছে সেই জায়গা অনেকটা মৌরসীর মতো। কারণ আমরা বংশ পরম্পরায় ব্যবহার করে আসছি। যারা অভিযোগ করেছেন তারা একটি লিজের কাগজ বের করে এখন সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট অভিযোগ করে যাচ্ছেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, আমরা অভিযোগ তদন্ত করছি। তবে জমির মালিকানা দুই পক্ষই দাবি করছে।