কোচ নিয়োগ : পুরোনো পথে হাঁটছে ব্রাজিল

দেখতে দেখতে দুই দশক পেরিয়ে গেল, হেক্সার স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি! ২০০২ সালে রোনালদো-কাফুদের হাত ছুঁয়ে যে সোনালি ট্রফি জিতেছিল ব্রাজিল, সেই স্বাদ যেন ভুলতে বসেছে সেলেকাওরা। তাই ষষ্ঠ শিরোপার জন্য মনটা খুব আনচান করছে দেশটির সমর্থকদের। এবার কাতারে তিতের ব্রাজিলকে ডুবতে হয়েছে কোয়ার্টার-সাগরে।

ফিলিপে স্কলারি- শেষ যিনি ডাগআউটের সফল নায়ক হয়েছিলেন। এর পর অবশ্য খুব একটা কোচ বদলায়নি ব্রাজিল। দুঙ্গা আর তিতে মিলিয়ে আট বছর চালিয়েছেন দলটিকে। কিন্তু কাতারে যখন এত এত তারকা নিয়েও ষষ্ঠ শিরোপা জিততে পারেনি ব্রাজিল, তখন আর তিতের ওপর আস্থা রাখেনি দেশটি। মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া কোচকে বাদের তালিকায় রেখে নতুন তালিকা হাতে এগোচ্ছে। যেখানে আছেন ক্লাব ফুটবলের মাস্টারমাইন্ড কোচ জিনেদিন জিদান, আছেন রাফা বেনিতেজ এমনকি দুই আর্জেন্টাইন মার্সেলো গ্যালার্দো ও মাউরিসিও পচেত্তিনো।

এবার তালিকায় যে ছয়জন আছেন, তাঁদের কেউই ব্রাজিলিয়ান নন। এমনটা ঠিক ৯৬ বছর আগে দেখা গিয়েছিল। ১৯২৫ সালে ব্রাজিল প্রথম কোচ হিসেবে একজন ভিনদেশিকে নিয়োগ দেয়। উরুগুয়ের র‌্যামন প্লাতেরো ছিলেন তাদের প্রথম কোচ। এর পর যতজন কোচ হিসেবে ব্রাজিল ফুটবলকে রাঙিছেন তাঁদের সবাই ব্রাজিলেরই।

স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মার্কা বলছে, নতুন কোচের দৌড়ে যে ছয়জন আছেন, তাঁদের মধ্যে লিস্টের প্রথমেই জিদানের নাম। এর পরের নামটি আবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার গ্যালার্দোর। শেষ পর্যন্ত জিদানকে কোচের আসনে বসালে কিংবা গ্যালার্দোকে দায়িত্বভার সঁপে দিলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

জিদান খেলোয়াড় হিসেবে যেমন প্রতিভাবান ছিলেন, কোচ হিসেবেও তেমন। বিশেষ করে রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হয়ে তিনি রাঙিয়েছেন অনেকটা পথ। ক্লাবটির হয়ে দুই দফা কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জিজু। এই সময়ে লস ব্লাঙ্কোসরা জিতেছে ৯টি শিরোপা। যার মধ্যে আবার তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। যদিও তাঁকে নিয়ে মাঝে অনেক গুঞ্জন ছিল। বিশ্বকাপের পর ফ্রান্সের কোচ হতে পারেন এমনটাও শোনা যায়। কিন্তু ফরাসিরা ফাইনালে উঠে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে গেলেও দিদিয়ের দেশমের কাঁধে থাকছে কোচের ভার। সে জন্য ফ্রান্সের কোচ হওয়ার আপাতত সুযোগ নেই। এই ফাঁকে ব্রাজিল হাত বাড়িয়েছে জিদানের দিকে। উরুগুয়ের ক্লাব ন্যাসিওনাল ও বর্তমানে রিভার প্লেটের দায়িত্বে থাকা গ্যালার্দোর কোচিং অভিজ্ঞতাও মন্দ নয়।