ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে যেভাবে শুরু করেছিল কানাডা, তাতে ভালো অবস্থানেও থাকতে পারতো গত বারের সেমিফাইনালিস্টরা। কিন্তু সে সুযোগটা দিল না লুকা মদ্রিচের দল। কানাডাকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে বেলজিয়েমের কাজটা বেশ কঠিন করে দিল গত বারের রানারসআপরা।
খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে সোমবার কানাডাকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। জোড়া গোল করেছেন আন্দ্রেজ কামারিচ। একটি করে গোল করেছেন মার্কো লিভ্রাহা ও লোভ্রো মাজের।
ম্যাচের মাত্র ২ মিনিটে আলফানসো ডেভিসের গোলে এগিয়ে যায় কানাডা। আগের ম্যাচে মরক্কো যেভাবে বেলজিয়ামকে হারিয়ে দিলো তেমন অঘটনের শঙ্কা উঁকিঝুঁকি দিচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তা হতে দিলো না ক্রোয়েশিয়া। কানাডার জালে দুবার বল পাঠিয়েছেন আন্দ্রেজ ক্রামারিচ। একটি করে গোল করেছেন মার্কো লিভাজা ও লোভরো মাজের।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই ক্রস থেকে দুরন্ত হেডে গোল করে কানাডাকে এগিয়ে দেন আলফানসো ডেভিস। এরপর একের পর এক আক্রমণে কানাডার ডিফেন্সকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে ক্রোয়েশিয়ানরা কিন্তু গোলের মুখ খুলছিল না কিছুতেই।
৩৬তম মিনিটে সমতা ফেরায় ক্রোয়েশিয়া। ইভান পেরিসিচের চমৎকার রিভার্স পাসে দূরের পোস্ট দিয়ে জাল খুঁজে নেন অরক্ষিত ক্রামারিচ।
এরপর ক্রোয়েশিয়ার লাগাতার আক্রমণে বারবার কানাডার ডিপ ডিফেন্সে ফাঁক ফোকর দেখা দিচ্ছিল। যার সুযোগ নিতে দেরি করেনি ক্রোয়েশিয়া। ৪৪ মিনিটে দারুণ এক দৌড়ে কানাডার রক্ষণভাগ তছনছ করে ফেলেন জুরানোভিচ। এরপর পাস বাড়ান মার্কো লিভজার উদ্দেশে। প্লেসিং শটে চমৎকার গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। ২-১ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় ক্রোয়েশিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধে কানাডা পাত্তাই পায়নি ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ দারুণভাবে নিয়ে নেয় ক্রোয়াট মিডফিল্ড। দুর্দান্ত এক আক্রমণ থেকে ৬৯ মিনিটে তৃতীয় গোলের দেখাও পেয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। ডি-বক্সে দারুণ বোঝাপড়ায় পেরিসিচের পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে প্লেসিং শটে গোল করেন ক্রামারিচ। ম্যাচে এটি দ্বিতীয় গোল এই তারকার। ৩-১ গোলে এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া।
যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ফের গোলের দেখা পায় ক্রোয়েশিয়া। কানাডার রক্ষণভাগের ভুলে বল পেয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। ছোট্ট একটা স্প্রিন্টের পর অরিসিচ পাস দেন লোভরে মাজেরকে। সহজ কাজটুকু সারতে ভুল করেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত ৪-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ক্রোয়েশিয়া।