শ্রীমঙ্গলে কমছে তাপমাত্রা, বাড়ছে শীত

দেশের শীতলতম স্থান হিসেবে পরিচিত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা কমে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। আজ পহেলা ডিসেম্বর বিকেল থেকে শ্রীমঙ্গলের পাহাড়ী অঞ্চলে বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

চা শ্রমিক সাধন হাজরা বলেন, চা বাগান ঘেরা শ্রীমঙ্গলে গত সপ্তাহ থেকে শীত নেমেছে। সকালের দিকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে চারদিক। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ বিকেল থেকে তীব্র শীত নেমেছে।

শ্রীমঙ্গলের সিন্দুরখান ইউনিয়নের ভারত সীমান্তবর্তী গ্রাম জাম্বুরাছড়া এলাকার বাসিন্দা কাজল বলেন, গত কয়েকদিন থেকে শীত পড়েছে আমাদের এলাকায়। বিশেষ করে রাতেও প্রচন্ড শীত অনুভূত হয়। আজ বিকেল থেকে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। রাতে শীতের তীব্রতা আরও বাড়বেও বলে তিনি জানান।

শ্রীমঙ্গলের কালাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা রিপন বলেন, পাখির অভয়ারণ্য বাইক্কা বিল হাওরে এখন অতিথি পাখি আসতে শুরু করেছে। এছাড়াও বিল, জলাশয়, চা-বাগান লেক-এ অতিথি পাখি আসতে শুরু করেছে। আর কয়েকদিনের মধ্যে অতিথি পাখির কলতানে হাওর, বিল, লেক ও জলাশয়গুলো পাখির কিচির-মিচিরে মুখরিত হয়ে উঠবে। ফলে পর্যটক, দর্শনার্থী ও ভ্রমণপিপাসুদের আগমন শুরু হবে।

এদিকে শীত জেঁকে বসার আগেই উপজেলায় লেপ-তোষক তৈরির ধুম লেগেছে। শীত বরণে এক অন্য রকম প্রস্তুতি। শীত শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে এখানকার প্রকৃতির রূপ। সকালে সবুজ ঘাসে জমছে নিশির শিশির। ভোরে কুয়াশাও পড়ছে। তবে জেলার চা বাগানগুলোতে শীত একটু বেশি অনুভূত হচ্ছে।

আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার শ্রীমঙ্গল কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছিল ১৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর রবিবার ১৪ ডিগ্রি ও সোমবার ১৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিলো। মঙ্গলবার তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে হয় ১৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তবে বুধবার ফের ১৪. ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নামে। গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্র ছিলো ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল।

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক বিভলু চন্দ্র দাস বৃহস্পতিবার সন্ধা সাড়ে ৬ টায় মুঠোফোনে বলেন, আজ (১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় এবং সন্ধা ৬টায় শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি আরও বলেন, অন্যান্য বছর নভেম্বর থেকেই শ্রীমঙ্গলে শীতের প্রকোপ থাকে। এবার একটু দেরিতে শীত নেমেছে। এখন থেকে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমবেে এবং সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে শীত। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর শীতের তীব্রতা কিছুটা কম থাকবে বলেও তিনি জানান।