সিলেটের কানাইঘাটে আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় এক ব্যক্তির ফসলি জমিতে লাগানো সবজি বাগান কর্তন সহ পৈত্রিক ও খরিদা ভোগ দখলীয় জমিতে জোরপূর্বক ধানের চারা রোপনের ঘটনা ঘটেছে।
ধানের চারা রোপনের পর জমির মালিক উপজেলার দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের নিজ বাউরভাগ পূর্ব গ্রামের মৃত হাজী আব্দুস সামাদের পুত্র নিরীহ আব্দুল মতিনের পরিবারের সদস্যদের নানা ভাবে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছে জবর দখলকারীরা।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এস.আই দেবাশীষ শর্ম্মা গত রবিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সবজি বাগান কর্তনের সত্যতা পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নিজ বাউরভাগ পূর্ব গ্রামের আব্দুল মতিনের বাড়ির পাশের সুরমা নদীর চরে খরিদা ৮ শতক ও পৈত্রিক আরো ৮ শতক ফসলী জমি রয়েছে। জমিগুলো তিনি দীর্ঘদিন থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করে তথায় সবজি বাগান ও ধান চাষাবাদ করে আসছিলেন।
বৃদ্ধ আব্দুল মতিন জানান, গত বছর হঠাৎ করে একই গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের পুত্র আফতাব উদ্দিন ও মৃত আব্দুর রশিদের স্ত্রী সমছিদা বিবি গংরা তার খরিদা ৮ শতক ভূমি মিথ্যা দাবী করে জবর দখলের চেষ্টা করে। এতে তিনি বাদী হয়ে আফতাব উদ্দিন ও সমছিদা বিবি গংদের বিরুদ্ধে সহকারী জজ আদালত কানাইঘাট, সিলেটে স্বত্ত্ব- ১২৩/২০২২ইং মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত বিবাদী পক্ষকে বাদীর শান্তিপূর্ণ ভোগ দখলে যাতে কোন ধরনের বাঁধা বিঘ্ন সৃষ্টি করতে না পারেন কিংবা বেদখল করতে না পারেন মর্মে বিবাদীদের বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করেন।
আব্দুল মতিন আরো জানান, আদালতের নোটিশ পাওয়ার পরও বিবাদীরা তার খরিদা ৮ শতক ফসলি জমি জবর দখল করার জন্য গত শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল ৭টায় আফতাব উদ্দিন, সমছিদি বিবি এবং তাদের পরিবারের সদস্য সোহেল আহমদ, আজমল হোসেন, জামাল আহমদ গংরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার জমিতে অনাধিকার প্রবেশ করে পৈত্রিক ৮ শতক জমিতে লাগানো সবজি বাগানের বিভিন্ন জাতের সবজির গাছ কেটে ফেলে ও বাঁশের বেড়া ও মাছা ভাংচুর করে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করে। একপর্যায়ে তার খরিদা ৮ শতক ধান ক্ষেতের ভূমিতে বিবাদীরা জোরপূর্বক ভাবে কলের নাঙ্গল দিয়ে চাষাবাদ করে ধানের চারা রোপন করে।
এ ঘটনার এলাকায় বিচার প্রার্থী হলে জবরদখলকারীরা বৃদ্ধ আব্দুল মতিনকে প্রাণ নাশের হুমকি সহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করলে তিনি ন্যায় বিচারের স্বার্থে থানায় সমূহ অভিযোগ এনে জবরদলকারী ৫ জনের বিরুদ্ধে দরখাস্ত মামলা দায়ের করেন।
আব্দুল মতিন বলেন, থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর থেকে জবর দখলকারীরা তাকেসহ তার পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দিয়ে আসছে। যার কারণে বর্তমানে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের জন্য তিনি দ্রুত থানা পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।