কানাইঘাটে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

সিলেটের কানাইঘাটে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও উৎসব মূখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবস পালিত উদযাপিত হয়েছে। বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে কানাইঘাট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এবং পৌরসভার পক্ষ থেকে ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শাহাদাৎ বরণকারী বীর শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা নাসরিন।

এরপর শহীদ মিনারে থানা পুলিশ, আনসার ভিডিপি, কানাইঘাট প্রেসক্লাব, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পল্লি বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল ৮টার পর কানাইঘাট উপজেলা বিএনপি ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ৩টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে শোডাউনের মাধ্যমে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

তবে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে দেখা যায়নি। সকাল ৯টায় থানা পুলিশ, আনসার ভিডিপি ও ফার্য়ার ব্রিগেট সদস্যদের গার্ড অফ অনারের মাধ্যমে কানাইঘাট উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে আনুষ্টানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা নাসরিন ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল।

সকাল ১০টায় একই স্থানে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিজয় মেলার শুভ উদ্বোধন করেন নির্বাহী কর্মকর্তা। এরপর বিজয় মেলার স্টলগুলো উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাগণ, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদি এবং জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখেন ফারজানা নাসরিন। বিজয় মেলার স্টলগুলোতে সর্বস্থরের জনসাধারণের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।

সকাল ১১টায় উপজেলা অডিটোরিয়ামে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধণা প্রদান করা হয় এবং জোহরের নামাজের পর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য এবং জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদসহ অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে সকল সরকারী, আধা সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারী প্রতিষ্টানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং বিকেল ৩টায় প্রশাসনের উদ্যোগে বিজয় মেলা প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক অনুষ্টানের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা বিএনপি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো দিনব্যাপী নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে দিবসটি উদযাপিত করেন। মহান স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণ করে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সবাইকে একসাথে দেশের জন্য কাজ করার আহবান জানানো হয়।