ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা শেষ মুহুর্তে প্রচার-প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। মূলত প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রার্থীরা ভোটযুদ্ধে বিজয়ের লক্ষ্যে সভা সমাবেশ, উঠান বৈঠকসহ জোর প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান (আনারস) ও কৃষি মন্ত্রীর সহোদর উপজেলা দুর্ণীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল (মোটরসাইকেল) এর মধ্যে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই হবে এমন ধারনা করছেন সাধারণ ভোটাররা। এছাড়া চা-শ্রমিক নারী নেত্রী গীতা রাণী কানুও ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে আলোচনায় রয়েছেন। তবে উপজেলার অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুলের পক্ষে কাজ করায় তিনি সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন বলে অনেকেই মনে করেন।
অন্যদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. সিদ্দেক আলী (তালা), মো. আলমগীর চৌধুরী ( চশমা), হাফেজ মো. আব্দুল ওহাব (বৈদ্যুতিক বাল্ব), নিরঞ্জন দেব ( মাইক) ও সুনীল কুমার মৃধা (টিউবওয়েল) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে বিজয়ের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এছাড়াও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিলকিস বেগম (পদ্মফুল) ও মুন্না দেব রায় (ফুটবল) প্রতীক নিয়ে মাঠে সক্রিয়ভাবে প্রচারনায় রয়েছেন।
নির্বাচনী প্রচারনায় শেষ মুহুর্তে প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকেরা উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ভোটারদের কাছে দিন-রাত ছুটে চলেছেন। তীব্র তাপদাহ ও ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিজয়ের লক্ষ্যে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা এখন নির্বাচনী যুদ্ধে সমানতালে সারা উপজেলা চষে বেড়াচ্ছেন।
কমলগঞ্জে প্রথমদিকে প্রচারণা ও নির্বাচনী আমেজ দেখা না গেলেও এখন জমে উঠেছে। গত কয়েকদিন ধরে ভোটের মাঠ বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও চলছে পক্ষ-বিপক্ষের প্রচারণা। এক্ষেত্রে থেমে নেই প্রার্থীরাও।
বিশ্লেষকদের অভিমত, চা বাগানের ভোটাররা জয় পরাজয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারেন। কমলগঞ্জ উপজেলা চা অধ্যুষিত হওয়ায় যে প্রার্থী চা জনগোষ্ঠির ভোট বেশী টানতে পারবেন তিনিই বিজয়ী হবেন।
আগামী ২৯ মে কমলগঞ্জ উপজেলায় ৭৩টি কেন্দ্রে ২লক্ষ ১১হাজার ৫শত সাতচল্লিশ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।