কনস্টেবল কাওছার ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে সহকর্মীকে হত্যা করতে পারেন

রাজধানীর বারিধারার কূটনৈতিক এলাকায় কর্তব্যরত অবস্থায় এক পুলিশ সদস্য আরেক পুলিশ সদস্যকে হত্যা করার ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে দাবি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) ড. খ. মহিদ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘অভিযুক্ত কাওছার ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে এই ঘটনা ঘটাতে পারেন।’

আজ রোববার দুপুরে ডিএমপি সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন আহম্মেদ এ কথা বলেন। তিনি বলেন, “এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা, যা সাময়িক উত্তেজনার কারণে ঘটতে পারে। অভিযুক্ত কাওছারের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, তিনি ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।”

অতিরিক্ত ডিউটির কারণে এই ঘটনা ঘটেছে কিনা জানতে চাইলে, মহিদ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, “এটি যে কোনো মানুষের ক্ষেত্রে ঘটতে পারে, যখন কেউ নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায়। তবে এ ধরনের নির্মমতা মেনে নেওয়া যায় না এবং এ রকমের ঘটনা ঘটতে দেওয়া উচিত নয়।”

এই ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশ সদস্যদের কাউন্সেলিং করা হয় কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, “পুলিশ সদস্যদের আনুষ্ঠানিকভাবে কাউন্সেলিং করা হয় না, তবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মাঝে মধ্যে তাদের সঙ্গে এসব বিষয়ে আলোচনা করেন।”

অভিযুক্ত কাওছার আলীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “পুলিশ একটি শৃঙ্খল বাহিনী এবং কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আসলে নিয়ম অনুযায়ী তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।”

গতকাল শনিবার মধ্যরাতে রাজধানীর বারিধারা কূটনৈতিক এলাকার ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে দায়িত্ব পালন অবস্থায় এক পুলিশ কনস্টেবল আরেক সদস্যকে গুলি করেন, এতে মনিরুল হক নামে এক কনস্টেবল নিহত হন। ঘটনার পর অভিযুক্ত কাওছার আলীকে গ্রেপ্তার করে গুলশান থানা-পুলিশ। নিহতের ভাইয়ের দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।