আসন্ন হাংঝু এশিয়ান গেমসে এ গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। গ্রুপে বাংলাদেশের তিন প্রতিপক্ষ হলো চীন, মিয়ানমার ও ভারত।
শক্ত এই গ্রুপে বাকি সবাই র্যাঙ্কিংয়ে বালাদেশের উপরে অবস্থান করছে। গ্রুপে র্যাংকিংয়ে সবার উপরে চীন (৮০)। এরপর ভারত ১০০ ও মিয়ানমার ১৬০তম স্থানে। বাংলাদেশের র্যাংকিং ১৮৯।
তাছাড়া এশিয়ান গেমেসে শক্তিশালী দলও পাঠাচ্ছে না বাংলাদেশ। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের খেলা থাকায় চীনে যেতে পারছেন না জাতীয় দলের একাধিক তরুণ ফুটবলার।
২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবর চীনের হাংঝুতে বসবে এবারের এশিয়ান গেমসের আসর। একই সময়ে এশিয়ার ক্লাব ফুটবলের দুটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং এএফসি কাপ চলবে। এই দুটি আসরে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের দুই ক্লাব বসুন্ধরা কিংস ও ঢাকা আবাহনী। ফলে এশিয়ান গেমসে এ দুই ক্লাবের ফুটবলারদের পাচ্ছে না বাফুফে। এশিয়ান গেমসের পুরুষ ফুটবল ইভেন্ট অনূর্ধ্ব-২৩ অলিম্পিক দল খেলে। তিনজন সিনিয়র ফুটবলার খেলতে পারেন।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এশিয়ান গেমসের জন্য ৫৮ জন ফুটবলার রেখেছিল। এতে শেখ মোরসালিন, আনিসুর রহমান জিকো, মোহাম্মদ হৃদয়, ইয়াসিন আরাফাত, তপু বর্মণ, রিমন হোসেন, তারিক কাজীসহ ছিলেন অনেকে।
বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) এই তালিকা গেমস কমিটিকে পাঠিয়েছিল। তবে দুটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে ক্লাবের খেলা থাকায় তাদের বাদ দিয়েই দল গঠন করতে হয়েছে স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে।
তিনজন সিনিয়র ফুটবলারের কোটায় এশিয়ান গেমসের দলে রয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের মোহাম্মদ ইব্রাহিম এবং এখনো জাতীয় দলের জার্সি গায়ে না জড়ানো মোহামেডানের ডিফেন্ডার মুরাদ হোসেন।
বাংলাদেশ শক্তিশালী দল দিতে না পারলেও নয়জন জাতীয় ফুটবলার নিয়ে এশিয়াডে যাচ্ছে ভারত। আছেন অধিনায়ক সুনীল ছেত্রি ও সহঅধিনায়ক গুরপ্রীত সিং সান্ধু। সিনিয়র কোটায় আছেন অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার সন্দেশ জিঙ্ঘান। এছাড়া জাতীয় দলের আরও ছয় ফুটবলারকে এশিয়াডে পাঠাচ্ছে ভারত। তারা হলেন-গোলকিপার গুরমিত সিং, ডিফেন্ডার আনোয়ার আলি, আকাশ মিশ্র, মিডফিল্ডার জিকসন সিং ও মহেশ সিং নাওরেম এবং ফরোয়ার্ড রাহিম আলি।
ভারতের তুলনায় অনভিজ্ঞ দল বাংলাদেশ। দলের তিন গোলকিপার মিতুল মারমা, মেহেদী হাসান শ্রাবন ও পাপ্পু হোসেনের জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। রক্ষণে শুধু ইসা ফয়সাল সবশেষ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ দলে ছিলেন। এর বাইরে তানভীর হোসেন, শাকিল হোসেন, মুরাদ হোসেন, আতিকুজ্জামান, রাজিব হোসেন ও শাহিন আহমেদ নতুন। মাঝমাঠে একমাত্র ভরসা জামাল ভঁ‚ইয়া। আবু সাইদ, তাজ উদ্দিন, শহিদুল ইসলাম ও জায়েদ আহমেদকে লিগের খেলা দেখে দলে নিয়েছেন কোচ। ফরোয়ার্ডরা কিছুটা অভিজ্ঞ।
আছেন দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা রবিউল হাসান। অভিজ্ঞ ইব্রাহিমের সঙ্গে রয়েছেন সাফে চমক দেখানো ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও রফিকুল ইসলাম। সম্ভাবনাময় পিয়াশ আহমেদ নোভা, সারোয়ার জামান নিপু ও জাফর ইকবালের নাম রয়েছে এশিয়াডের দলে।