শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফল করায় এ এফ মুজিবুর রহমান স্বর্ণপদক পেয়েছেন ১১ শিক্ষার্থী।
স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন, স্নাতকোত্তরে (২০১৬) পেয়েছেন উম্মে তাহেরা, স্নাতক (২০১৭) ও স্নাতকোত্তর থিসিস (২০১৯) পেয়েছেন শিফা বেগম, স্নাতকোত্তর থিসিস (২০১৭) রিনা পাল, স্নাতকোত্তর (২০১৭) মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ ভূঁইয়া, স্নাতক (২০১৮) ও স্নাতকোত্তর (২০২০) পেয়েছেন সৈয়দ ইমাম মাহদী, স্নাতকোত্তর থিসিস (২০১৮) পেয়েছেন ফাহমিদা আফরোজ, স্নাতকোত্তর (২০১৮) পেয়েছেন রুমা আক্তার, স্নাতক (২০১৯) এবং স্নাতকোত্তর থিসিস (২০২১) পেয়েছেন নাসরিন আক্তার তানিয়া, স্নাতকোত্তর (২০১৯) পেয়েছেন মোহাম্মদ নোমান, স্নাতক (২০২০) পেয়েছেন মো. এবাদুর রহমান, স্নাতকোত্তর (২০২০) পেয়েছেন মো. শহিদুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে প্রধান অতিথি শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন আহমেদ কৃতী এই শিক্ষার্থীদের হাতে স্বর্ণপদক ও সনদপত্র তুলে দেন।
এসময় বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রশিদের সভাপতিত্বে ও সহযোগী অধ্যাপক ড. হিমাদ্রী শেখর চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস উদ্দীন বিশ্বাস, শাবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন, ভৌত বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দ বদিউজ্জামান ফারুক, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদার, এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন এর ট্রাস্টি মো. নুরুল আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম। এছাড়া এসময় বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল সব জায়গায় গণিত প্রয়োজন। কিন্তু দুঃখের বিষয় গণিত এখন সব জায়গায় অবহেলিত। তাই গণিত কেন ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে তা আমাদের খতিয়ে দেখা দরকার। গণিত পড়লে সব জায়গায় ভালো করা যায় সেটা প্রমাণিত। মেঘনাদ সাহা, সত্যেন ঘোষ গণিতে শিক্ষা নিয়েছেন, গণিত চর্চার মাধ্যমে তারা গবেষণা করেছেন। গণিতকে ভালোবাসলে গণিত উপকারে আসবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাবি উপাচার্য বলেন, আগেকার সময়ে সেরা মেধাবী সবাই গণিতে পড়াশোনা করেছেন, বর্তমান সময়ে গণিত একটু অবহেলিত হচ্ছে, সেটা আমাদের কাটিয়ে উঠতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে বিজ্ঞানের দিকে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ কম ছিল, তবে তা এখন নেই। গণিতে প্রতি আগ্রহ বাড়াতে হবে, যে ব্যবস্থা নিলে গণিতের প্রতি শিক্ষার্থীদের ঝোঁক বাড়বে আমাদের সে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। মুজিবুর রহমান ট্রাস্টি বোর্ড যে সহযোগিতা করছে এটা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। আশা করি এটা অব্যাহত থাকবে। পরিশেষে গোল্ড মেডেলপ্রাপ্তি শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান উপাচার্য।