বন্যায় বন্ধ শাবিপ্রবি, হল ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ায় আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শুক্রবার (১৭ জুন) সকালে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম।

এদিকে ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করলেও হল খোলা রেখেছে কর্তৃপক্ষ। তবে ছাত্রী হলগুলোতে পানি ঢোকায় হল ত্যাগ করতে শুরু করেছেন অধিকাংশ শিক্ষার্থী।

সরেজমিনে দেখা যায়, গত বুধবার থেকে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার তা ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। প্রতিমুহূর্তে বাড়ছে পানির উচ্চতা। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।

বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে পানি ঢুকতে শুরু করে। ইতোমধ্যে তলিয়ে গেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সবকটি সড়ক। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আবাসিক হলে হু হু করে ঢুকছে পানি।

বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে পুরো ক্যাম্পাসে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় নিরাপদ পানির অভাবে ভুগছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তাই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন আবাসিক হলের ছাত্রীরা।

এদিকে ছাত্রদের হলগুলোতে পানি না উঠলেও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের বাড়িতে ফিরে যেতে দেখা গেছে। শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে শিক্ষার্থীদেরকে হল থেকে নগরীর কদমতলী বাস স্টেশন পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছেন হল কর্তৃপক্ষ। পরে সেখান থেকে বাস ও ট্রেনে করে বাসায় ফিরে গেছেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে পুরো ক্যাম্পাসে বন্যার পানিতে কানায় কানায় ভর্তি থাকলেও এখন পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষগুলোতে পানি উঠতে দেখা যায়নি। তবে শিগগির শ্রেণিকক্ষে পানি ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের শিক্ষার্থী রাফসানা দীপ্তি বলেন, হঠাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পানি প্রবেশ করায় চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। হলগুলোতে পানি ঢোকায় হলে অবস্থান করা যাচ্ছে না। তাছাড়া সাপের ভয় তো আছেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমরা হলের প্রভোস্টসহ সকলের সাথে কথা বলেছি। ক্যাম্পাস ও হলের আশপাশে পানি বাড়ায় পোকা-মাকড় ও সাপের উপদ্রব বাড়ছে। হলের শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকতে বলেছি। এছাড়া যারা বাড়িতে যেতে চায় তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহর পর্যন্ত বাসের ব্যবস্থা করেছি। পরে সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা নিজেদের মতো করে বাসায় ফিরে যেতে পারবে।