পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি বলেছেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নে সরকারি বরাদ্দের সর্বোচ্চ ব্যবহার করেছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। মেয়র থাকাকালীন দুই মেয়াদে তিনি নগর উন্নয়নে সদা সচেষ্ট ছিলেন।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে দেয়া নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
টানা দুই মেয়াদে নগরের উন্নয়ন ও নাগরিক সেবা দানের সকল ব্যর্থতার দায় নিজের কাধে নিয়ে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নাগরিক সংবর্ধনায় বলেন, ‘ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সম্পীতির ঐতিহ্যকে ধারণ করে নির্মূহভাবে কাজ করা চেষ্টা করেছি। গত দশ বছরে সিলেটকে একটি জনবান্ধব নগর প্রতিষ্ঠায় যেটুকু অর্জন হয়েছে আমি নগরবাসিকে উৎসর্গ করছি।’
তিনি বলেন, মেয়র না থাকলেও সিলেটের উন্নয়নে সব সময় সক্রিয় থাকবো। নগরের চলমান উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী পরিষদকেও প্রয়োজনে সহযোগিতা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
নাগরিক সংবর্ধনা কমিটির আহবায়ক কাউন্সিলর শান্তনু দত্ত সনতু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিসিকের প্যানেল মেয়র-১ কাউন্সিলর মোহাম্মদ তৌফিক বকস।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সদর উদ্দিন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হক, বিশিষ্ট রাজনীতিক বেদানন্দ ভট্টাচার্য্য, মদন মোহন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক আতাউর রহমান পীর, সিলেট ডায়বেটিস সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট রাজনীতিক লোকমান আহমদ, সংবিধান বিশেষজ্ঞ এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহীন, সিলেট জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি অশোক পুরকায়স্থ, রামকৃষ্ণ মিশন সিলেটের অধ্যক্ষ স্বামী চন্দ্রনাথানন্দ মহারাজ, সিলেট প্রেস বিটারিয়ান চার্চে ফাদার ডিকন নিঝুম সাংমা, প্রোইভেট হাসপাতাল-ক্লিনিক এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. নাসিম আহমদ, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ রেনু ও সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম চৌধুরী নবেল।
নাগরিক সংবর্ধনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সিসিক কাউন্সিলর মো. আজাদুর রহমান আজাদ ও কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরগণ, কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের পক্ষ থেকে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে দেয়া মানপত্র পাঠ করেন জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ। প্রধান অতিথি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড .এ কে আব্দুল মোমেন এমপি ও সিসিকের কাউন্সিলরগণ নাগিরক সংবর্ধনা পাওয়া মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী হাতে মানপত্র, সম্মাননা স্মারক ও নগর ভবনের একটি প্রতীকি চাবি তুলে দেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিকে মেয়র কাউন্সিলরগণ সম্মাননা তুলে দেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশন জামে মসজিদের ইমাম মুফতি মাওলানা জসীম উদ্দিন, গীতা পাঠ করেন সিসিকের কর সহকারি কর কর্মকর্তা জ্যোতিষ চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. কবীর চৌধুরী, মেয়র পত্নি সামা হক চৌধুরী, কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ লায়েক, কাউন্সিলর শেখ তোফায়েল আহমদ সেপুল, কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ, কাউন্সিলর সায়ীদ মো. আব্দুল্লাহ, কাউন্সিলর হাজী মো. মখলিছুর রহমান কামরান, কাউন্সিলর মো. সিকন্দর আলী, কাউন্সিলর আব্দুল মুহিত জাবেদ, কাউন্সিলর রাশেদ আহমদ, কাউন্সিলর এ বি এম জিল্লুর রহমান, কাউন্সিলর এস এম শওকত আমীন তৌহিদ, কাউন্সিলর মো. ফজলে রাব্বী চৌধুরী, কাউন্সিলর হুমায়ূন কবীর সুহিন, কাউন্সিলর মো. রায়হান হোসেন, কাউন্সিলর মো. মাজহারুল ইসলাম শাকিল, কাউন্সিলর মো. রকিব খান, কাউন্সিলর মো. রুহেল আহমদ, কাউন্সিলর দেলওয়ার হোসেন, কাউন্সিলর মো. জয়নাল আবেদীন, কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম, কাউন্সিলর হিরন মাহমুদ নিপু, কাউন্সিলর আলতাফ হোসেন সুমন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর কুলসুমা বেগম পপি, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রুহেনা খানম মুক্তা, সংরক্ষিত কাউন্সিলর শাহানা বেগম শানু, সংরক্ষিত কাউন্সিলর শাহানারা বেগম, সংরক্ষিত কাউন্সিলর শারমিন আক্তার রুমি, সংরক্ষিত কাউন্সিলর ছামিরুন নেছা, সংরক্ষিত কাউন্সিলর আয়েশা খাতুন কলি, সংরক্ষিত কাউন্সিলর সাজেদা বেগম, সংরক্ষিত কাউন্সিলর হাজেরা বেগম, সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফাতেমা বেগম, সংরক্ষিত কাউন্সিলর বাবলী আক্তার, সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ফাহিমা ইয়াসমিস, প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান খান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেব, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম, সিলেটের বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং সিসিকের বিভিন্ন শাখা ও বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ।