পবিত্র ঈদুল আযহায় যাতায়াতে দেশের সড়ক মহাসড়কে ২৭৭ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৯৯ জন নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন ৫৪৪ জন আহত হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ পথ মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা ৩৪০। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সমিতির পর্যবেক্ষণে এ তথ্য উঠে এসেছে।
শনিবার (৮ জুলাই) সকালে রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব ত্যথ তুলে ধরেন সংগঠনটির মহাসচিব মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
এবারের ঈদে বিগত বুছরগুলোর তুলনায় অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ মানুষ কম যাতায়াত করেছেন। ঈদ যাাত্রা শুরুর দিন ২২ জুন থেকে ০৬ এপ্রিল পর্যন্ত মাত্র ১৫ দিনে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৭৭ টি। এতে নিহত হয়েছেন ২৯৯ জন, আর ৫৪৪ জন আহত হয়েছে। বিগত ২০২২ সালের ঈদুল আযহার তুলনায় দুর্ঘটনা ১৫.১৬ শতাংশ, প্রাণহানী ৩৩.১১ শতাংশ, আহত ৪২.২৭ শতাংশ কমেছে। উল্লেখিত সময়ে রেলপথে ২৫ দুর্ঘটনায় ২৫ জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে। নৌ-পথে ১০টি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত, আহত ১৫ জন ও ০৬ জন নিখোঁজ হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী এবারের দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে ট্রাক-পিকআপ-কভার্ডভ্যান। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৩১.৭৬ শতাংশ। ৩১.১০ শতাংশ মানুষ মারা গেছেন ট্রাক-পিকআপ-কভার্ডভ্যান দুর্ঘটনায়। দুঘটনা ও মৃত্যুর দিক থেকে দ্বিতীয় মোটর সাইকেল। মোট ৯১ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৯৪ জন নিহত ও ৭৭ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩২.৮৫ শতাংশ, মোট নিহতের ৩১.৪৩ শতাংশ।
এই সময় সড়কে দুর্ঘটনায় ৮২ জন চালক, ০৯ জন পরিবহন শ্রমিক, ৩৫ জন পথচারী, ৪৭ জন নারী, ২৫ জন শিশু, ১৭ জন শিক্ষার্থী, ০৫ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য(০১ পুলিশ, ০১ নৌ বাহিনী, ০১ র্যাব, ০১ বিজিবি, ০১ সেনাবাহিনী), ০৪ জন শিক্ষক, ০৫ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী নিহত হওয়ার পরিচয় মিলেছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের সদস্যরা বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় দৈনিক, আঞ্চলিক দৈনিক ও অনলাইন দৈনিক এ প্রকাশিত সংবাদ মনিটরিং করে প্রতি বছর ঈদযাত্রায় এ প্রতিবেদন তৈরি করে আসছে।