৫০ বছর বয়সী বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন ছিল পদ্মার বুকে একটি সেতু। যে সেতুটি একটি সুতোয় মালা গেঁথে দেবে বাংলাদেশের উত্তর-দক্ষিণ আর পূর্ব-পশ্চিমাঞ্চলকে। সেতুটি সব ক্ষেত্রেই ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বাংলাদেশের জীবন ও অর্থনীতিতে। সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষদের আশা, শুধু জীবন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নয়, দেশের নাটক ও চলচ্চিত্রের দৃশ্যপটে বৈচিত্র্যের স্বাদ এনে দেবে এই সেতু। বাড়বে কনসার্ট।
পদ্মা সেতু নিয়ে এমনই স্বপ্ন বুনছেন বরিশাল থেকে উঠে আসা চিত্রনায়ক ওমর সানী। নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় এ তারকার শ্বশুরবাড়ি অর্থাৎ স্ত্রী চিত্রনায়িকা মৌসুমীর বাবার বাড়িও পদ্মার ওপারে, খুলনায়। পদ্মা সেতু নিয়ে ওমর সানীর তাই বাড়তি উচ্ছ্বাস। বলেন-
পদ্ম সেতু নিয়ে আমর উচ্ছ্বাস আমি ফেসবুকেই প্রকাশ করেছি। এটা আমাদের জন্য বিশেষ। কেন বিশেষ? আমার বাড়ি বরিশালের গৌরনদীতে, জন্ম কালিগঞ্জ, জিনজিরা ঢাকা। শ্বশুরবাড়ি সাতক্ষীরা, খুলনায় (হা হা)। বিষয়টি আমার জন্য বেশ আনন্দের।
একটা সময় অসম্ভব ছিল পদ্মা সেতু। বিশ্বব্যাংক না করে দিলো। তখন কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, হবে। তখনও ভাবতে পারিনি এটা হবে। ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী।
আমার পর আরও প্রজন্ম আসবে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম এটা দেখবে। পদ্মা সেতু মাথা উঁচু করে রাখবে। বাইরে গেলে অনেকেই আমাদের তুচ্ছজ্ঞান করেন। পদ্মা সেতু এখন সেই সুযোগটা তাদের দেবে না। আমরা অধীর হয়ে অপেক্ষা করছি পদ্মা সেতুতে উঠতে।
সারা বাংলাদেশের চাপ পড়ে ঢাকায়। আমার মনে হয়, এই চাপ লাঘব হবে। দীর্ঘদিন ধরে ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি, ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাঁচাপণ্য তারা ওদিক থেকে আনতে পারেন না। আমি আশা করবো, এখন এগুলোর দাম কমবে।
পদ্মা সেতু আমার লাগবে, আপনার লাগবে। আমাদের গর্বের পদ্মা সেতু। আমাদের প্রথম অর্জন স্বাধীনতা, আর দ্বিতীয় অর্জন পদ্মা সেতু! সমালোচনা নয়, আসুন আমরা একমুখে বলি, আমাদের পদ্মা সেতু।