আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সপ্তসুরের রাগিণী’ এর আয়োজনে প্রয়াত বুদ্ধিজীবী আব্দুল গাফফার চৌধুরী রচিত দুটি গানের প্রকাশনা ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় সিলেট নগরীর একটি অভিজাত হোটেলের হলরুমে ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সোলেমান হোসেন ও নিজ কন্যা বিনিতা চৌধুরী বিনুকে নিয়ে আব্দুল গাফফার চৌধুরীর লেখা এবং যথাক্রমে শামসুল হুদা ও বাদল প্রামানিকের সুরে ও তৃপ্তি চক্রবর্তীর গাওয়া দুটি গান ‘সালাম তোমায় হে বীরযোদ্ধা, হে শহীদ সোলেমান’ ও ‘মা-গো তুই আমায় একলা ফেলে কোথায় চলে গেলি’ এর প্রকাশনা ও গুণীজন সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের কমিউনিটি নেতা সত্যব্রত কর এর সভাপতিত্বে এবং ‘সপ্তসুরের রাগিণী’র পরিচালক শর্মিলা দেব শর্মি ও সভাপতি সঞ্জয় দেব এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত লোকসঙ্গীতশিল্পী সুষমা দাস।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে আসন অলংকৃত করেন সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি কবি মুহিত চৌধুরী, বাসস এর সিলেট ব্যুরো প্রধান মকসুদ আহমেদ মকসুদ, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সিসিক’র ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জগদীশ চন্দ্র দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা নিবারন চন্দ্র দাস, শহীদ সোলেমান হোসেনের সহোদর বোরহান হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক আশীষ দে, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রিপন এষ চৌধুরী, সংগঠক দীপক রায় দীপু, অ্যাডভোকেট পান্না চৌধুরী ও জান্নাত আরা রহমান।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দিশারি স্কুলের চেয়ারম্যান প্রবাল ভট্টাচার্য, সিটি মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুকেশ তালুকদার, সংগঠক মলয় তালুকদার, সাংবাদিক তাওহিদুল ইসলাম, এম এ ওয়াহিদ চৌধুরী, আব্দুল হাসিব, আবু জাবের, মৃনাল কান্তি দাস, শাহীন আহমেদ, সংগঠক অমিনাংশু দাস, মহসিন বাসিত, দীপংকর মন্ডল দীপু, তাপস চক্রবর্তী, সাংবাদিক শান্ত দাস, কিংশুক রঞ্জন চৌধুরী, দীপন দাস,অরবিন্দু পাল, গৌতম দেব, মোহন লাল দাস মৃদুল, প্রিন্সিপাল প্রবাল ভট্টাচার্য, ডা. সুধাংশু শেখর দাস, বিজয় চৌধুরী, বিপ্লব কুমার পাল, শান্ত দাস, সুমিত দেব, সংগঠক মোহন লাল দাস মৃদুল, শ্রীহট্ট লোকগীতি পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি মিত্রা দে (সহকারী-শিক্ষক), নারী নেত্রী পলাশী মঝুমদার, ঝুমা দাস, শিল্পী পাল, রুমা দত্ত, দীপ সরকার, ছাত্রনেতা জয়দ্বীপ দাস জনি, বিপ্লব দাস, স্বপন দাস, ঝন্টু প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালি সংস্কৃতি আমাদের অহংকার। প্রবাসীরা শুধু দেশে রেমিট্যান্স উপহার দেন না, তাঁরা মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতি বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আব্দুল গাফফার চৌধুরী প্রবাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর কালজয়ী ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানের জন্য তিনি আজীবন আমাদের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন। তাঁর আরও দুটি গান প্রকাশিত হয়ে আমাদের সংস্কৃতির ভান্ডারকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। আমাদের লোকসংগীত বাঁচাতে হবে। ইতিহাস-ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হবে। ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণে সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সপ্তসুরের ‘রাগিণী’র (যুক্তরাষ্ট্র) পক্ষ থেকে অতিথিবৃন্দকে উত্তরীয় পরিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়। অনুষ্ঠান শেষে সংবর্ধিত গুণীজনদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। নৈশভোজের মাধ্যমে গুণীজন সম্মাননা ও দুটি গানের প্রকাশনা অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
উল্লেখ্য, এ গান দুটির প্রচার ও প্রসারে যুক্তরাজ্য প্রবাসী সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ আজিজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন।