টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে আবারো সুনামগঞ্জের সুরমাসহ নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
সোমবার(১৩ জুন) দুপুরে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করায় ক্লাস নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে আবারও সুনামগঞ্জে বন্যা দেখা দিতে পারে।
এদিকে সড়ক প্লাবিত হওয়ায় ছাতক, দোয়ারাবাজার, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলাসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার জেলা সদরের সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে৷
জানা গেছে, তাহিরপুর-বিশ্বম্ভরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কে তিনটি স্থানে ঢলের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জেলা সদরের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন পর্যটকসহ সাধারণ মানুষ। এদিকে গত বন্যায় জেলার বিভিন্ন সড়ক প্লাবিত হয়ে ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ওইসব এলাকার মানুষজনের। এছড়া হাওর ও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে জেলার নিম্নাঞ্চলের মানুষের ঘরেও পানি প্রবেশ করেছে। ভোগান্তি চরমে পড়েছে হাওরবাসী৷
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামছুদ্দোহা বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় সুনামগঞ্জে ৭৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আজ সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে আগামী ২৪ ঘন্টা ভারতের মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।